জানুয়ারি ২২, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
মতামত

৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল পুনরায় প্রকাশ করে দ্বিগুণসংখ্যক প্রার্থী ২১ হাজার ৩৯৭ জন প্রার্থীকে কেন পাস করানো হলো?

শরিফুল হাসান : ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল পুনরায় প্রকাশ করে দ্বিগুণ সংখ্যক প্রার্থী ২১ হাজার ৩৯৭ জন প্রার্থীকে কেন পাস করানো হলো? এটি অনৈতিক। মনে রাখবেন, কোন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সামান্য অভিযোগ থাকলেও সেই পরীক্ষা বাতিল করাটাই সত্যিকারের সমাধান। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংস্কৃতিকে নিরুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু তা না করে বেশিসংখ্যক বা দ্বিগুণ সংখ্যক প্রার্থীকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে ফের ফলাফল প্রকাশ করে জনপ্রিয় হবার চেষ্টা ভয়ঙ্কর প্রবণতা।

দেখেন বৈষম্য দূরীকরণে এমন সিদ্ধান্ত বলা হলেও এটি কোনভাবেই বৈষম্য দূর করবে না। এভাবে জনপ্রিয় হবার চেষ্টা ভীষণ অনৈতিক। এর চেয়ে পরীক্ষা বাতিল করে ফের পরীক্ষা নিলে প্রার্থীদের মঙ্গল হতো। আজকে যারা এমন সিদ্ধান্তে খুশি হচ্ছেন মনে রাখবেন অনৈতিক কাজের আনন্দে খুশি হতে নেই। আরো মনে রাখবেন ৪১ এর মতো ৪৬ বিসিএসটাও দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে যাচ্ছে।

পিএসসির সংস্কার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আয়োজিত অনুষ্ঠানেও আমি এই কথাগুলো বলেছি। সেখানে বলেছিলাম, ৪৪, ৪৫, ৪৬ বিসিএস নিয়ে যে দীর্ঘসূত্রতায় পিএসসি পড়লো এবং সেই সাথে ৪৭ যুক্ত হলে চার বিসিএস নিয়ে যে দীর্ঘসূত্রতা তা থেকে বর্তমান কমিশনের বের হতে পারা কঠিন। এর ফলে শেষ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাশ হবে।

আমি প্রায়ই বলি, দিনের পর দিন প্রশ্নপত্র ফাঁস, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস, পিএসসির দীর্ঘসূত্রতা, কর্মসংস্থানের অভাব সবকিছু মিলে এই দেশের তরুণ প্রজন্মকে ভয়াবহ সংকটে ফেলা হলো। এই সংকটের শেষ কোথায় আমি জানি না তবে আল্লাহ স্বাক্ষী তরুণ প্রজন্মের ধ্বংসের প্রতিটি অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছি। আমি আজীবন এই দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য আমার কথাগুলো বলে যাবো। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিবেকবোধ দিক! ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ! ভালো থাকুক এখানকার প্রতিটি মানুষ! ভালো থাকুক প্রিয় তারুণ্য!
লেখক : কলামিস্ট। ফেসবুক থেকে