আহসান হাবিব : ৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস হলে আগের এ’বিষয়ক সমস্ত কিছু এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত এদেশ পরাধীন ছিল, ৭১ এ স্বাধীন হয়েছে। আবার ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পরাধীন ছিল, ২০২৪ এ স্বাধীন হয়েছে। সবশেষ স্বাধীনতা পূর্বের স্বাধীনতাকে নাকচ করেই তবে নতুন স্বাধীনতা আসে। সূতরাং ৭ মার্চ, ২৬ মার্চ,১৬ ডিসেম্বর, শেখ মুজিব বাতিল হয়ে গেছে যেমন বাতিল হয়ে গেছে ৭১ এ পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ আগস্ট, জাতির জনক জিন্নাহ।
২
নতুন স্বাধীনতার একক ঘোষক এবং নেতা কে- এখনো আমরা জানি না।
সমন্বয়কদের ভেতর নিশ্চয় কাউকে ঘোষক বানানো হবে এবং জাতির জনক হিসবে ড.ইউনুস। অবশ্য এই বিপ্লবীরা জাতির জনকে বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে মুসলিম উম্মায়। তাহলে তাদের জাতির জনক হওয়ার কথা হযরত ইব্রাহীম (আ:)।
আমরা হয়তো অচিরেই এই সমস্ত বিষয়ের স্পষ্ট বৈপ্লবিক ঘোষণা শুনতে পাবো।
৩
একটা দেশ ক’বার স্বাধীন হয় এমন কোন সংখ্যা নাই। অনেকবার হতে পারে। বাংলাদেশ মাত্র দু’বার হলো। সামনে নিশ্চয় আরো স্বাধীনতা দেখতে পাবো। একবার হয় বলে যে পুরনো ধারণা আছে, এই বিপ্লব তা বাতিল করলো এবং ইতিহাসে নতুন একটি প্রত্যয় যুক্ত করলো।
এখন কেউ যদি এই স্বাধীনতাকে মানতে না চায়, তাহলে তাকে আবার যুদ্ধ করতে হবে। যদি ৭১ কেই একমাত্র স্বাধীনতা বলতে চায় কেউ, তাহলে ২০২৪ এর স্বাধীনতা’র বিরুদ্ধে তাকে সংগ্রাম করতে হবে।
এছাড়া অন্য কোন বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। তবে আমরা আপাতত দুটি পক্ষ দেখতে পাচ্ছি: ১৯৭১ বনাম ২০২৪। তবে চরিত্রের দিক থেকে ২০২৪ হচ্ছে ১৯৪৭ আর ১৯৭১ তো একটাই- ১৯৭১। সুতরাং লড়াইটা ৪৭ ভার্সেস ৭১। লেখক: কথাসাহিত্যিক
বাংলাদেশ
মতামত
লড়াইটা ১৯৪৭ ভার্সেস ১৯৭১!
- লিখেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক
- অক্টোবর ১৮, ২০২৪
- ০ মন্তব্য
- ১ মিনিটের কম সময়
- 49 জন দেখেছে