আজিজুর রহমান আসাদ : রেজিমচেঞ্জের পরে প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হল। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই সংকট দূরীভূত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বিশ্বপুঁজিবাদের সংকট ও সাম্রাজ্যবাদী ভু-রাজনীতির প্রভাবে রেজিমচেঞ্জ হলেই সেটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বদলায় না। অভিজ্ঞতালব্দ জ্ঞান দিয়েই এটা বুঝতে হবে যে, বৈষম্য বিলোপ করতে হলে, প্রয়োজন শ্রেণীশোষণ মূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও লিবারেল বুর্জোয়া গণতন্ত্র (ভোটতন্ত্র) রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল উচ্ছেদ।
সমাজ ও রাজনীতির সংকটের দ্বান্দ্বিকতা হচ্ছে, এই সংকট বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সম্ভাবনার দুয়ারও খুলে দেয়, সুযোগ তৈরি করে। তবে অবজেক্টিভ অবস্থা অনুকূলে হোলেই সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে না। প্রয়োজন আত্মগত প্রস্ততি সম্পন্ন করা। সমাজবদলের লক্ষ্য, রূপরেখা, কৌশল ও পদক্ষেপ নির্ধারণ করা। এবং শ্রমজীবী পেশাজীবী জনগণের জীবনসংগ্রামের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া।
বিগত ১২ আগস্ট আমরা (বিমল বিশ্বাস, মোজাম্মেল হক তারা, আজিজুর রহমান আসাদ) একটি ঘোষণা দিয়েছিলাম যে সমাজবদলের রাজনীতি নিয়ে আমাদের তত্ত্বগত ও অভিজ্ঞতালব্দ ধারনা বই আকারে প্রকাশ করা হবে। কাজটি করতে গিয়ে কমিউনিস্ট আন্দোলনের পর্যালোচনা মূলক একটি লেখাও তৈরি হয়েছে। দুটি বইয়েরই সম্পাদনার কাজ চলছে। অচিরেই আমরা বই দুটি আগ্রহীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আশাকরি।
আপনাদের সুচিন্তিত মতামত আমাদের চিন্তার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। শুভকামনা। লেখক : গবেষক। ফেসবুক থেকে