জানুয়ারি ২২, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
মতামত

মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বিরোধী সকল অপশক্তি একজোট হয়েছে!

ফজলুল বারী : পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে শারীরিকভাবে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে খুনি জিয়া চক্র। এবার যারা ক্ষমতা দখল করেছে তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করা! এরা স্বীকার করেছে ছাত্রলীগের ভিতর ঢুকে তারা সাজিয়েছে গোটা নকশা। এরাই ঘৃনিত হেলমেট বাহিনীর ষন্ডা পান্ডা জঙ্গি!
পাঁচ আগষ্ট দেশে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে এরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে ভারতে রেখে আসে! এরপর গণভবনে লুটেরাদের ঢুকিয়ে দিয়ে জানান দেয় সামরিক অভ্যুত্থান সফল হয়েছে! আগে থেকে নেয়া পরিকল্পনা অনুসারে সারাদেশে অতিদ্রুত বঙ্গবন্ধুর সব ভাস্কর্য প্রতিকৃতি ভেঙ্গে ফেলা হয়। একই সময়ে বঙ্গবন্ধুর সব ভাস্কর্য ধংস করা হয় সেনানিবাসেও! এরা ধংস করেছে ধানমন্ডির বত্রিশ নাম্বারের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন!

এরপর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন পনের আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিলের মাধ্যমে এদের রাজনৈতিক বদমতলব প্রকাশ পেতে শুরু করে। এরপর জাতীয় চার মূলনীতি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস, সংবিধান দিবস বাতিলের মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে গেছে তাদের মুখোশ। এরাই জুলাই আগষ্ট জুড়ে ছাত্র গনহত্যার আয়োজন বাস্তবায়নের জন্য দায়ী। ক্ষমতা দখলের জন্য এরা সবকিছু করেছে।

পৃথিবীতে কেউ ক্ষমতা হারাতে মানুষ হত্যা করে না। ধূর্ত ক্ষমতা দখলকারীরাই সব হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। প্রতিটি হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার বিচারের নামে প্রহসনের আদালত সাজিয়েছে! মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বিরোধী সকল অপশক্তি আজ একজোট হয়েছে! যে আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে প্রতিশোধমূলক সেই আদালতেই তারা জবরদস্তিমূলক বঙ্গবন্ধু কন্যা সহ মুক্তিযুধের পক্ষের লেখক সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদেরও বিচার করে ফেলবে! এদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। জাগো বাহে কোনঠে সবায়। লেখক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে