প্রবল প্রকৃতির দুর্যোগ ও ভারী বৃষ্টিপাত এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন যায়গায় জল ছাড়তে শুরু হয়েছে। এবং হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত বিভিন্ন যায়গায় থেকে জল গড়িয়ে নীচের দিকে আসছে। এবং সেই জল সিকিম ও নেপালের বহু এলাকা থেকে এবং ভুটানের বহু এলাকা থেকে সোজা হয়ে পশ্চিম বাংলার দার্জিলিং হয়ে তিস্তায় এসে পড়ছে।আর তার ফলে ফুঁসছে তিস্তার পানি। এই মুহূর্তে তা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিম বাংলা সরকারের জানানো হয়েছে যে ধীরে ধীরে তিস্তার পানি ছাড়া হবে। এই পানি যদি ছাড়া হয় তাহলে উত্তর বঙ্গের বহু জেলা সহ মালদাহ মুর্শিদাবাদ এবং দিনাজপুর জেলা জলপাইগুড়ি জেলা সহ ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে এমনি বৃষ্টি বাদলা র কারণে বহু এলাকা জলমগ্ন। তার উপর যদি তিস্তা নদীর জল ছাড়া হয় তাহলে তার প্রভাব পড়বে পশ্চিম বাংলা সহ ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে। আবার ডিভিসির জল 50,কিউবিক ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিভিসি কর্মকর্তারা। তার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।একে একে দুই স্হান দিয়ে যদি সক্রিয় ভাবে জল ছাড়ে তাহলে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন যায়গায় প্লাবিত হবে এবং বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এই ঘটনার পর পশ্চিম বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর সদস্যদের। এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। প্রতিটি জেলা ও ব্লক কে সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত হয়েছে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্দেশ মেনে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে স্হানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।এর প্রভাব কতটা আকার ধারণ করতে চলেছে তা দেখার বিষয়। তবে তিস্তা ও ডিভিসি যদি একসাথে জল ছাড়তে শুরু করে তাহলে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন যায়গায় এর প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়বে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে।
ভারত থেকে নিউজ দাতা: মনোয়ার ইমাম
Leave feedback about this