আহসান হাবিব : ব্যক্তিকে চিনতে হয় রাজনীতি দিয়ে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত হয়েছেন, তারা এই অভ্যুত্থান ফিলোসফির লোক- এটা স্বতঃসিদ্ধ। যেমন ধরুন, সৈয়দ জামিল আহমেদ, তিনি শিল্পকলার ডিজি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাকে সকলেই বলছেন একজন প্রতিভাধর মানুষ, মেজাজি এবং অন্যায়ের সংগে আপোষ করেন না। ভাল কথা। কিন্তু এসব ব্যক্তিচরিত্র রাজনৈতিক ফিলোসফির সংগে সম্পৃক্ত নয়। বরং তিনি যে ফিলোসফি ধারণ করেন, সেসবের সংগে এগুলি মানানসই কি না, তা দেখা দরকার। তিনি একজন আপোষকামী।
ক
প্রমাণ হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি কয়েকদিন আগে শিল্পকলায় ‘নিত্যপূরাণ’ নাটকটি তিনি সম্পূর্ণ মঞ্চস্থ করতে দিতে সক্ষম হননি। কারণ বহিঃস্থ কিছু লোক একজন থিয়েটার কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে নাটক মঞ্চস্থ করতে বাধা দেয়।
সৈয়দ জামিল আপোষ করেন, তিনি নাটক বন্ধ করে দেন।
এটা পরিষ্কার আপোষকামিতা।
খ
এখন শুনছি তিনি মামুনুর রশীদকে শিল্পকলার মঞ্চে অভিনয় করতে বারণ করেছেন। কারণ তিনি তার নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। অর্থাৎ তিনি বাংলাদেশের একজন নাট্যাচার্য মামুনুর রশীদের নিরাপত্তা দিতে অপারগ যেখানে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তি। কার স্বার্থে তার এই পোষকামিতা?
নিজের গদির স্বার্থে। তিনি হতে পারেন তার ছাত্রছাত্রী, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধবদের কাছে খুব মেজাজি, সৎ এবং দৃঢ়চেতা লোক, কিন্তু তিনি ক্ষমতার কাছে প্রমাণিত একটি ভেজা বেড়াল। ক্ষমতার বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি নীতির প্রশ্নে আপোষহীন নন, অটল নন, তিনি আসলে একজন কাপুরুষ তা যতই তিনি প্রতিভাধর হোন…। লেখক: কথাসাাহিত্যিক। ফেসবুক থেকে
মতামত
ব্যক্তি বনাম ক্ষমতা!
- লিখেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক
- নভেম্বর ২৯, ২০২৪
- ০ মন্তব্য
- ১ মিনিটের কম সময়
- 34 জন দেখেছে