জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
মতামত রাজনীতি

বিএনপির হঠাৎ একশ ষাট ডিগ্রি ঘুরে যাওয়ার কারণ কী?

মনজুরুল হক : শিরোনাম দিকনির্দেশ করছে বিএনপি কিছুদিন আগে যে জায়গায় ছিল এখন আর সেখানে নেই। ‘কেন নেই’ সেটি বলার আগে ভাবা দরকার আসলেই কি বিএনপি কিছুদিন আগে ভিন্নরকম ছিল? হ্যাঁ, ছিল। ধরা যাক সেই ৫ আগস্ট বিকেলে যখন সেনাপ্রধান ‘সকল দলের’ প্রতিনিধিদের ডাকলেন সেখানে বিএনপির মির্জা ফখরুল আর মির্জা আব্বাস বলেছিলেন দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার কথা। সেই থেকে আজ অবধি টানা তিন মাসে বিএনপি একাধিকবার এদিক-ওদিক ট্যুইস্ট করেছে, কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে মোটামুটি একটি অবস্থানেই স্থির থেকেছে। ওই পয়েন্টের কারণেই তারা সরকারের, প্রকারন্তরে সমন্বয়কদের একটার পর একটা দাবীর মৌন বিরোধীতা করেছে। আবার কিছু কিছু দাবী বা পদক্ষেপের সমর্থনও করেছে।

যখন সন্বয়করা মিছিল করে হাইকোর্টে ঢুকে প্রধান বিরাপতিসহ অ্যাপিলেট ডিভিশনের সকল বিচারকদের বহিষ্কার করল তখন বিএনপি টু-শব্দ করেনি কারণ, তাদের দলের লোকজনকে হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছিল। এরপর একে একে যখন প্রায় একশ জনের উপর শিক্ষক/প্রধান শিক্ষককে ঘাড় ধরে ‘জুতো মেরে’ খেদিয়ে দেওয়া হলো তখনও বিএনপির মুখে কুলুপ। এরপর সারা দেশজুড়ে অরাজকতার মহামারি হলেও বিএনপি চুপ কারণ, তাদের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ইজারা-তোলা-হপ্তার সেক্টরগুলো দখল করে নিয়েছিল।

এমনকি যেদিন ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সময় শেষ হওয়ার অনেক আগে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা না করেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো, তখনও বিএনপি ভাবছে; ‘ন**র পোলা শাহীন আপন খালাতো ভাই, দেখি না সে কী করে’! বিএনপি প্রথম স্পষ্ট করে বিরোধীতা করেছিল মহামান্য প্রেসিডেন্টকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিতাড়নের উদ্যোগের পরে। বিএনপি যখন দেখেছে বঙ্গভবেনর সামনে পর্যাপ্ত লোকবল ছাড়াই ‘প্রেসিডেন্ট খেদাও’ হুমকি কার্যকর হয়নি, কেবলমাত্র তখনই বিএনপি স্পষ্ট করে বলেছে তারা এই মুহূর্তে (মানে পরে হলে আপত্তি নেই?) প্রেসিডেন্টর অপসারণ চায় না। তারা কিন্তু বলেনি-কাজটা অবৈধ বা অসাংবিধানিক। এর পরে সমন্বয়করা প্রেসিডেন্টের অপসারণ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেও সেই একই ফলাফল-তারা এই মুহূর্তে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হোক তা চায় না। তারপর এলো আওয়ামী লীগসহ এগারটি দল নিষিদ্ধ করণের প্রস্তাব। এবারও বিএনপি রাজি নয়। তারা বলল-‘আমরা কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। দল নিষিদ্ধ বা বয়কট করবে জনগণ।‘ খুব ভালো কথা।

এর আগে-পরে বিএনপির একাধিক নেতা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন যে তারা প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুগপত আন্দোলনও করতে রাজি। বিশেষ করে এমপি রুমিন ফারহানা একাধিক চ্যানেলে একাধিক ভিডিওতে বলেছেন-‘আওয়ামী লীগকে বাদ দেওয়া অত সোজা নয়’, ‘গত পনের বছর ধরে শেখ হাসিনাকে যাচ্ছেতাই বলে সমালোচনা করেছি, যা এখন পারি না’, ‘বর্তমান সরকার লীগ আমলের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের চেয়ে বেশি স্বৈরচারী’। এভাবে তিনি এবং আরও কয়েকজনের কথাবার্তায় মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক যে তারা এই অনির্বাচিত সরকারের সমালোচনা করতে পিছু পা হচ্ছে না। এমনকি নির্বাচন নিয়ে সরকারের টালবাহানার বিরুদ্ধেও একাধিক নেতা-নেত্রী তীব্র সমালোচনা করেছেন।

এরই মধ্যে বিএনপি ভেতর মোটা দাগে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের দুই পথের, দুই মতের কলিশন হয়েছে। মির্জা ফখরুল আজকে জামাতের সমালোচনা করেছেন তো পরদিন মির্জা আব্বাস জামাতকে সঙ্গে নিয়েই সরকার গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এইসব পরস্পরবিরোধী বাক্যালাপের মধ্যে তৃণমূলের কর্মীরা দিকভ্রান্ত হচ্ছিল। তারা একবার মনে করছিল এই সরকার তাদেরও সরকার। আবার পরক্ষণেই তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে তারা এই সরকারের তীব্র সমালোচক।

ইত্যবসরে গত ৮ তারিখে হঠাৎ শেখ হাসিনার এক ঘোষণায় পুরো দৃশ্যপট দ্রুতই বদলে যায়। হাসিনা টেলিফোন বার্তায় নেতাকর্মীদের নূর হোসেনের শহিদ দিবস পালনের নির্দেশ দেন। তিন মাস পর হঠাৎই দৃশ্যপটে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের এন্ট্রি। আর এই ঘোষণাতেই প্রবলভাবে চমকে ওঠে বিএনপি। তারা ধরেই নিয়েছিল আগামী এক বছরেও আর আওয়ামী লীগ পথে নামতে পারবে না। অন্তত সরকারের তীব্র আওয়ামী ঘৃণায় তেমনটা মনে করাই স্বাভাবিক। সেখানে কিনা মাত্র তিন মাস পরেই আওয়ামী লীগ মাঠে? তাও আবার বিপুল জনসমাবেশ ঘটানোর ঘোষণা? এই ঘোষণার পর পরই নড়েচড়ে বসে বিএনপি। দ্রুতই তারা দুই গ্রুপ এক হয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। এখানে বিএনপির পরিকল্পনা খুব সিম্পল। তারা চায় সরকারকে চাপে রাখতে রাখতে একসময় তারা নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। সেটা ছয় মাস পর হলে আরও ভালো। ততোদিনে আওয়ামী লীগ ছন্নছাড়া, দেশছাড়া এবং রাজনীতির মাঠা ছাড়া। অর্থাৎ প্লেইং ফিল্ড ফাঁকা। একমাত্র প্রতিপক্ষ জামাত যাদের ভোট মাত্র ৩ শতাংশ। বাদবাকি দলগুলো মিলে আরও ২ শতাংশ বাদ দিয়ে থাকে পচানব্বই শতাংশ। অর্থাৎ এই পচানব্বই শতাংশই বিএনপির ঘরে। বিএনপির একুনে ২৫০ থেকে ২৮০টি আসন নিশ্চিত।

শেখ হাসিনার হঠাৎ সমাবেশের ঘোষণা সেই স্বপ্নপ্রদত্ত বাড়াভাতে ছাই দিতে চাইছে? এটা কোনোভাবেও মেনে নেওয়া যায় না। এর পর পরই বিএনপির হাই কমান্ড সিদ্ধান্ত নেয় লীগকে প্রতিহত করবার। সেই মত ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে ছাত্র শিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনগুলোর পাশাপাশি নিজেদের সর্বশক্তি নিযোগ করে দেয় বিএনপি। বিশেষত ঢাবি ক্যাম্পাসে মার খাওয়া ছাত্রদলই এদিন সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের সমাবেশ পণ্ড করে দেয়।

এর পর থেকে বিএনপির নেতা-নেত্রীদের একশ ষাট ডিগ্রি ঘুরে যাওয়া স্পষ্ট হতে থাকে। রাতারাতি রুমিন ফারহানা থেকে রিজভী আহমেদ পর্যন্ত বারে বারে ট্যুইস্ট করতে থাকেন। যে রুমিন তিন মাস ধরে লীগের প্রতি শেখ হাসিনার প্রতি সফট ছিলেন, সমব্যাথী ছিলেন তিনিই ১১ তারিখে একটি চ্যানেলে শেখ হাসিনাকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। বঙ্গভবন থেকে বেআইনীভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবি অপসারণের বিরুদ্ধে রিজভী মতামত দিয়েও পরে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক নেতার মত ভাষণ দেওয়ার বদলে হঠাৎ তীব্রভাবে আওয়ামী স্বৈরাচার নিয়ে আগুন বর্ষণ করতে থাকেন। ফেসবুকজুড়ে ছাত্রদলের নেতা-কমীরা রাতারাতি শিবিরের সুরে সুর মিলিয়ে বক্তব্য দিতে থাকেন। ওদিকে লন্ডন থেকে তারেক রহমানও নতুন করে পুরোনো বিষোদগারের পৃষ্টাগুলো পাঠ করতে থাকেন। অর্থাৎ রাতারাতি বিএনপি আওয়ামী লীগ প্রশ্নে একশ ষাট ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়ায়।
যে বিএনপি ১০ তারিখের আগে দিনে একবার হলেও নির্বাচন চাচ্ছিল সেই বিএনপি ১০ তারিখের পর বলতে থাকে-‘সংস্কার না করে নির্বাচন নয়। সরকারকে সুষ্ঠুভাবে সংস্কারের জন্য সময় দিতে হবে। এই সরকার এমন কোনো কাজ করেনি যাতে তাদের সমালোচনা করা যায়। সরকার জনগণের জন্য কি করেনি?’ এটা বলে একটা একটা করে সরকারের কর্মাকাণ্ডের সাফাই দিয়েছেন। ফখরুলের পাশাপাশি বাকি নেতাকর্মীরাও সমান তালে সরকারের কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এর পাশাপাশি সেই পুরোনো কাসুন্দি-ভারতবিরোধীতা নতুন করে চাঙ্গা করেছে।

আর এসব দেখে শুনে দুই জায়গায় বসে মুচকি হেসেছে দুই পক্ষ। মুহাম্মাদ ইউনূসসহ উপদেষ্টারা মুচকি হেসেছেন। ওদিকে ভারতে বসে শেখ হাসিনাও মুচকি হেসেছেন। সরকার না হয় বিএনপি ‘সুমতি’ দেখে মুচকি হাসতেই পারে তা বলে শেখ হাসিনা কেন? ভাইটাল প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা ১০ তারিখের সমাবেশের ঘোষণা আবেগতাড়িত হয়ে বা অতি উৎসাহী হয়ে দেননি। তিনি বুঝেশুনেই চালটা দিয়েছিলেন এবং তিনি সেই চালে সফল। কি ছিল সেই ‘চাল’? হাসিনা জানতেন এতবড় ধাক্কার পর মাত্র তিন মাসের মাথায় জেল-জুলুমের ভয়ে পলাতক, ভীত সন্ত্রস্ত নেতাকর্মী দিয়ে অকস্মাৎ একটি সমাবেশ সফল করা যাবে না। তার পরও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। (এক) মনোবল ভেঙে যাওয়া লীগ নেতাকর্মীদের আদৌ ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে কি-না সেটা বাজিয়ে দেখা। এতে করে সমাবেশ সফল হোক না হোক, চাইলে যে আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারে সেটার ডেমোনেস্ট্রেশন দেখানো। (দুই) ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনা আন্তর্জাকিভাবে যে সাপোর্ট পাবেন সেটারই খানিকটা নমূনা সরকারকে দেখিয়ে দেওয়া। সমাবেশ সফল হোক বা না হোক ছাত্রলীগ যে নিষিদ্ধ হয়েও নিষিদ্ধকারীদের থোড়াই কেয়ার করে সেটার উদাহরণ দেখানো। এবং (তিন) বিএনপির টেম্পারামেন্ট যাচাই করা। সরকার টালবাহানা করে সংস্কারের কথা বলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ছক কষেছে এটা নিশ্চিত। সেটা বুঝে বিএনপি কীভাবে সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করবে? তাদেরকে নিশ্চয়ই পথে নামতে হবে আন্দোলন নিয়ে। সে সময় বিএনপি কি আওয়ামী লীগকে সাথে নেবে? নাকি আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভরসা করে আন্দোলন গড়ে তুলবে পারবে তারও লিটমাস টেস্ট ওই সমাবেশের ঘোষণা।

এই তিন স্ট্রোকের পরই হাসিনা দিলেন তার মাস্টারস্ট্রোক। কী সেটা? ১০ তারিখের সমাবেশে কর্মীদের বললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিজয় উপলক্ষে অভিনন্দন জানাতে তার ছবি দিয়ে প্ল্যাকার্ড বানিয়ে সমাবেশে যেতে। কী হলো? দেখা গেল কয়েকজন নিরীহ টাইপ লোক ব্যাগে করে ট্রাম্পের ছবি নিয়ে পুলিশের সামনে ঘুরছে। পুলিশ গ্রেফতার করল। ছবি উঠল। দেখা গেল ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে বাংলাদেশে কয়েকজন আওয়ামী লীগ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং সরকারের লোকজন তাদের পেটাচ্ছে। সেই ছবি ভায়া দিল্লি গিয়ে পৌঁছল ট্রাম্পের টেবিলে। ট্রাম্প তা দেখে ট্যুইটারে লিখলেন-‘শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের এ কী অবস্থা!?’
এবার জানুয়ারির ২০ তারিখে ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে পুরোনো শত্রু ড. ইউনূসের যে নাকাড়া বাজাবেন তাতে সন্দেহ নেই তেমন একটা।

শেখ হাসিনা তার চালটা দিয়ে যা বোঝার বুঝেছেন। দলীয় কর্মীদের ভেতর যে এখনও দলের জন্য জান দিয়ে দেওয়ার ঐকান্তিকতা আছে তার প্রমাণ পেয়েছেন। তার সুবিধাভোগী সুযোগসন্ধানী নেতারা যে বসন্তের কোকিল সেটাও প্রমাণ হয়েছে। তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে অনেকেই বিদেশে বসে অ্যামিউজমেন্ট করছেন। এদিকে দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মীরা মার খাচ্ছে, জেলে যাচ্ছে, না খেয়ে আছে, নিঃশেষ হচ্ছে। দ্বিতীয়ত: সরকারের ক্ষমতাটাও যাচাই হয়ে গেছে। সরকার চাইলেও সেনা পুলিশ নামিয়ে সমাবেশ ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে পারেনি। ঠেকিয়েছে অন্যরা। তৃতীয়ত: বিপদের সময় বিএনপিকে পাশে পাওয়া যাবে না, যা করার নিজেদেরই করতে হবে সেটাও দেখা গেছে। বিএনপি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা যতই বলুক এখন পর্যন্ত সরাসরি সরকারের বিরোধীতা করবে না কারণ, তারা এই সরকারকে তাদের আন্দোলনের ফসল মনে করে। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাকুক। আপাতত শেখ হাসিনা মেপে নিলেন আগামীতে তাকে কোন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে হবে। হোমওয়ার্কের ছলে ১০ তারিখের সমাবেশের ঘোষণা তাকে এবং তাদেরকে অনেকগুলো অংকের সূত্র মিলিয়ে দিয়েছে। ১৪ নভেম্বর ২০২৪
লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট। ফেসবুক থেকে