জানুয়ারি ২২, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

প্রতিদিন মূর্তি ভাঙা হচ্ছে, পাহারা দিয়ে আপনারা কি যে ঘণ্টাটা বাজাবেন!

ইমতিয়াজ মাহমুদ : সারা দেশে দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে পূজামণ্ডপগুলি নাকি পাহারা দেওয়া হবে। মোল্লারা বলে, আমরা পাহারা দিব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পুলিশ ও আনসার থাকবে পাহারায়। বিএনপির একজন নেতা বক্তৃতায় ওদের কর্মীদের আহ্বান করেছেন ওরা যেন পূজা মণ্ডপ পাহারা দেয়। সেনাপ্রধানও বলেছেন যে, তিনি তাঁর বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন পূজা উপলক্ষে পাহারা দেওয়ার জন্যে।

এইসব দেখেশুনে আমার হাসি পায়। কেন? কেননা এইসব লোকেরাই আবার সুযোগ পেলেই ঝেড়ে দেন যে বাংলাদেশ নাকি একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ও ভাই, আপনারা সবাই পূর্বানুমান করছেন নিপুণভাবে যে পূজা মণ্ডপে হামলা যেন একটি প্রায় অনিবার্য ঘটনা। সম্প্রীতিই যদি থাকবে তাইলে হামলা কেন অনিবার্য হবে। সেই শঙ্কা দূর করেন, হামলার আশঙ্কা না থাকলে তাইলে তো এতো পাহারা ইত্যাদি দরকার হয় না।
শঙ্কা দূর করবেন কীভাবে? দুইটা পদক্ষেপ নিয়ে দেখেন। প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে যে রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র উদ্ধার করেন। রাষ্ট্র সরকার রাজনীতি শিক্ষাঙ্গন এইসব থেকে ধর্মকে আলাদা করে ফেলেন। সাম্প্রদায়িকতা যে মন্দ সেইটা সেখান বাচ্চাদের। আর দ্বিতীয় পদক্ষেপ হচ্ছে সমস্যাটা স্বীকার করা ও শক্তহাতে আইন প্রয়োগ করা। সমস্যা স্বীকার করা মানে সৎ ভাবে স্বীকার করা আর শক্ত হাতে মানে শক্ত হাতে। ধানাই পানাই নয়।

সাম্প্রদায়িক হামলা হলে আপনারা বলতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ করেছে বা বিএনপি করেছে। কেউ কেউ আবার জ্ঞানগর্ভ বাণী দিতে থাকেন, হিন্দুরা নৌকায় ভোট দেয় বলে হামলা হয় এইরকম কত তর্ক। ভাইসাহেব, যারা মূর্তি ভাঙে ওরা আওয়ামী লীগ কি বিএনপি সেটা তো অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা, দায়িত্ব এড়ানোর কথা। এইভাবে যদি কোন গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতেই হয় তাইলে তস্করদের প্রাসঙ্গিক পরিচয়টা বলেন, মূর্তি ভাঙে মুসলমানরা। প্রতিদিন মূর্তি ভাঙা হচ্ছে, পাহারা দিয়ে আপনারা কি যে ঘণ্টাটা বাজাবেন! লেখক: আইনজীবী। ফেসবুক থেকে