জানুয়ারি ২২, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামী সংগীত, ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়!

হুমায়ূন কবির : সাইফুদ্দিন আহমেদ নামের একজন কলেজ শিক্ষক লেখেন, ৫ আগস্টের পর এক শ্রেণির মানুষের লম্ফঝম্ফ দেখে টের পাচ্ছিলাম, আ*ল বলদেরা একমন দুধে কেবল এক ফোটা গো-চনাই দেবে না, বালতি ভরে গোবরও দেবে। গত দু’মাস ধরে যেনো এদের ঈদ লেগেছে। জোসের মাত্রাটা এতটাই প্রবল, গাইতে বলা মাত্রই পূজামণ্ডপের মঞ্চে উঠে গাইতে শুরু করলো।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের মতে, প্রথমত যারা ভিডিওটি এডিটেড বলে চালানোর চেষ্টা করেছেন তাদের নিন্দা জানাই। আপনারা জঘণ্য মানসিকতার মানুষ। দ্বিতীয়ত একটু আগে প্রশাসন স্বীকার করেছে এই ইসলামী গানটি দুর্গাপূজা স্টেজে জোর করে গাওয়া হয়েছিল। তার মানে পুরো বিষয়টিই ভয়াবহ ধর্মভিত্তিক ফ্যসিবাদের উত্থানের অংশ। নিজেকে মানুষ ভাবলে এখনি এই দানবিক ফ্যসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তবে কিন্তু অথবা বলে এই মহাঅন্যায়কে জাস্টিফাই করলে পুরো জাতির এর জন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে।

লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক বিস্মকর করে লেখেন, প্রশাসন স্বীকার করেছে যে পূজামণ্ডপে জোর করে গান গাওয়া হয়েছে। অবিশ্বাস্য, সিম্পলি অবিশ্বাস্য!

প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী লেখেন, মুসলমান দিয়ে হিন্দুর মন্দির পাহারা দেয়া হয় না। কারণ হিন্দু ধর্ম রক্ষার জন্য মুসলমান ধর্ম সৃষ্টি হয়নি। ছবির জন্য বিষয়টি ভালো। অন্য ধর্মের উপাসনার ঘর সেই পাহারা দিতে পারে যে বা যারা প্রকৃত মানুষ। ধর্মীয় লোকজন প্রকৃত মানুষ কম হয়। গত বন্যার সময় ফেনীতে দেখা গেছে মসজিদে আশ্রয় দেয়া হিন্দুদের নামাজে ডাকা হচ্ছে! ঠিক একইভাবে চট্টগ্রামে যাওয়া হয়েছে পূজার অনুষ্ঠানে গান গাইতে! জামায়াত-শিবির বলেছে পূজার অনুষ্ঠানে গান গাইতে যারা গেছে তারা তাদের লোক না! মিথ্যা কথা। তাদের লোকজন নানা নামে থাকে। যেমন গত আন্দোলনে তারা ছিল পরিচয় লুকিয়ে।