শাশ্বতী বিপ্লব : একাত্তরের পক্ষের মানুষেরা স্থির থাকুন। অস্থির হবেন না। নিজেদের জীবন দিয়ে, শ্রম দিয়ে, মেধা দিয়ে, বারবার কক্ষচ্যুত একটা দেশকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনার দায় আর নেবেন না। অনেকতো নিয়েছেন, আর কতো? এবার এদেশের মানুষকে, উত্তর প্রজন্মকে তাদের হিসাব বুঝে নিতে দিন।
বুঝে নিতে দিন সেইসব জ্ঞানপাপী, লোভী, স্বার্থপর মানুষগুলোকে, যারা শুরু থেকেই সবটা জানতো এবং ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত।
বুঝে নিতে দিন তাদের, যারা শুধুমাত্র আওয়ামী বিরোধীতা করতে গিয়ে দেশটাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। নিজেকে এবং নিজের সন্তানদের নিরাপদে রেখে যারা অন্যের সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে, সেই লাশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, যারা মিথ্যা বলেছে এবং এখনো বলছে, যাদের ব্যাংক একাউন্ট হঠাৎ ফুলেফেঁপে উঠেছে, যারা ৭১ এর বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় এনেছে, মৌলবাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তাদের সবাইকে বুঝে নিতে দিন।
আর যারা না বুঝে এই বিশাল ফাঁদে পা দিয়েছে, অন্যের উদ্দেশ্য হাসিলে নিজেদের ব্যবহৃত হতে দিয়েছে, তাদেরও নিজেদেরই বুঝতে হবে। আপনি/ আপনারা দয়া করে বোঝাতে যাবেন না। ৩০ লক্ষ শহীদ পূর্বপুরুষ, প্রায় ৪ লক্ষ ধর্ষন ও যৌননির্যাতনের শিকার পূর্বনারীদের ঋণ এই জনপদ ভুলেছে। আরো কী কী ভুলেছে, আমি আর মনে করিয়ে দিতে চাই না। আওয়ামিলীগেরও আর এই জনপদের হাল ধরার প্রয়োজন দেখি না। শেখ পরিবারের তো নয়ই।
আপনারা অস্থির হবেন না। এবার একটু ব্যাকসিটে বসুন দয়া করে। লেখাপড়া করুন, চাকরি করুন, সংসার করুন। আম জনতার জীবন কাটান।
দেশ যদি আপনাদের ডাকে কোনদিন, দেশের মানুষ যদি আপনাদের চায়, তবেই মাঠে নামবেন। ততোদিন বেঁচে থাকুন। অনিচ্ছায় পাওয়া, সেধে পাওয়া, না চাইতেই পাওয়া কোনকিছুরই মূল্য থাকে না। যেমন থাকে নাই মুক্তিযুদ্ধের। মাত্র ৯ মাস না হয়ে, যুদ্ধটা ৯ বছর ব্যাপী হলে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যায়ন অন্যরকম হতো। বাকি ৮ বছর ৩ মাসের যুদ্ধটা এবার এই দেশের মানুষ করুক। মুক্তিযুদ্ধটা আক্ষরিক অর্থেই শেষ হওয়া দরকার, খুব দরকার। ফেসবুক থেকে