ডিসেম্বর ৫, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ রাজনীতি

জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেব না – মির্জা ফখরুল

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কাছ থেকে জামায়াতে ইসলামী ৩০টি আসনে ছাড় চেয়েছিল। সেই প্রস্তাবে বিএনপি সম্মত না হওয়ায় দলটি এখন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নেমে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পিআর পদ্ধতি ছাড়াই জামায়াত আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফখরুল এসব কথা বলেন। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারটি নেন পত্রিকাটির সাংবাদিক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জামায়াতে ইসলামী, আগামী নির্বাচন, ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল।

গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন কি আদৌ হবে? জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি যেভাবে একটার পরে একটা নতুন দাবি তুলছে এবং সেগুলো পূরণ না হলে নির্বাচন হতে দেবে না বলছে, অনেকেই সংশয়ে। হলেও দেশজুড়ে প্রবল অশান্তি ও রক্তপাত হবে?

জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। সংশয়ের কোনো জায়গা নেই। কোনো অশান্তি হবে না। মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চাইছেন, নির্বাচন চাইছেন। উৎসবের মতো ভোট হবে ফেব্রুয়ারিতে।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন-তবে জামায়াত যে বলছে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি ছাড়া ভোট হবে না, এনসিপি প্রচলিত সংবিধান বাতিল করে আগে গণপরিষদের নির্বাচন চাইছে। না হলে ভোট হতে দেবে না বলছে…।

এই বিষয়ে ফখরুল বলেন, জামায়াত ভোটে আসবে। পিআর–টিআর নয়, মানুষ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝেন, সেই প্রচলিত পদ্ধতিতেই হবে বাংলাদেশের ভোট। জামায়াতও দেখবেন অংশ নেবে। আর এনসিপি-কে আমরা কোনো শক্তি বলেই আর মনে করি না। এটা ঠিক এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুনটা দিয়েছিল। এখন আর তাদের কিছু নেই। ডাকলে লোকও আসে না।

শোনা যায়, এনসিপি নাকি আপনাদের কাছে আসন চেয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, না। এনসিপি কখনো চায়নি। তবে জামায়াত চেয়েছে। এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য, বিএনপিকে সরকার গঠন করতে না দেওয়া।

জামায়াত কি ৫০টা আসন চেয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ৩০টা চেয়েছে। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনঃপূত হয়নি। আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি, জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেব না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পিআর-টিআর সবই বিএনপির ওপরে চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে। আসলে দেশের প্রবলভাবেই মানুষ নির্বাচন চাইছেন। সেনাবাহিনী চাইছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও চাইছেন।