ডিসেম্বর ৫, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
স্বাস্থ্য

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের শুরু আজ

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের শুরু আজ

নানা আয়োজনে দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। আজ থেকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নূরজাহান বেগম।
এ বছরের প্রতিপাদ্য— ‘মাতৃদুগ্ধকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক ব্যবস্থা করে গড়ে তুলুন’। নবজাতক ও মায়েদের জন্য বুকের দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এর গুরুত্ব নিয়ে গণসচেতনতা বাড়ানো এই এর উদ্দেশ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর জন্মের পর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই যদি তাকে মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়, তবে মৃত্যুঝুঁকি ৩১ শতাংশ কমে যায়। আর ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো হলে শিশুমৃত্যুর হার আরও ১৩ শতাংশ হ্রাস পায়।

শিশুর প্রথম খাবার হিসেবে ‘শালদুধ’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু পুষ্টিকরই নয়, বরং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রথম টিকার মতো কাজ করে। এই সময়টিতে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের বিকাশে মায়ের দুধ অপরিহার্য।

বিশ্বজুড়ে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হয়। লক্ষ্য— শিশুদের সুস্থভাবে বড় করে তোলা, মায়েদের স্বাস্থ্য রক্ষা করা, এবং মাতৃদুগ্ধের বিকল্প বিপজ্জনক পণ্য থেকে দূরে রাখা।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, কৌটায় সংরক্ষিত দুধ বা গুঁড়ো দুধ শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে ডায়রিয়ার ঝুঁকি ১০ গুণ, নিউমোনিয়ার ঝুঁকি প্রায় ১৫ গুণ বেড়ে যায়। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, শৈশবকালীন ক্যানসার, পরবর্তী জীবনে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের সম্ভাবনাও বাড়ে।

শুধু শিশুই নয়, মায়ের জন্যও বুকের দুধ খাওয়ানো স্বাস্থ্যকর। নিয়মিত দুধ খাওয়ালে স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা কমে, মায়ের শরীর দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে আসে এবং মানসিক প্রশান্তি তৈরি হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাতৃদুগ্ধ শুধু একটি খাবার নয়, এটি শিশুর জীবনের ভিত্তি, রোগ প্রতিরোধের প্রধান স্তম্ভ এবং এক ধরনের জীবনরক্ষা ব্যবস্থা।