আগস্ট ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের ২ নেতাসহ চারজনের নামে চার্জশিট

 

যশোরের ঝিকরগাছায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এতে সাবেক দুই ছাত্রদল নেতাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আবু সাঈদ।

 

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, ঝিকরগাছার পটুয়াপাড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে ও গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন হোসেন বাপ্পী, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাকির হোসেনের ছেলে জাবেদ হোসেন ও উজ্জল হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান। চাজশির্টভুক্ত চার আসামিই কারাগারে রয়েছে।

 

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ঝিকরগাছার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামি দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।

 

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ই মার্চ দুপুরে ভুক্তভোগী নারী তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বেনাপোল আত্মীয়দের বাড়ি থেকে মনিরামপুর নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে গদখালি বাজারে নামেন ভুক্তভোগী নারী। সেখানে একটি ফুলের দোকানে ইয়াসিন আরাফাত নামে যুবকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। দোকানে কথাবার্তার একপর্যায়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আসামি জাবেদ হোসেনের মোটরসাইকেলে তুলে দেয় আরাফাত। এপর অপর তিন আসামি একটি মোটরসাইকেলে তাদের পিছুপিছু যায়। আসামি জবেদ তার গ্রামের লিচু বাগানে নিয়ে যায়। বিকেলে লিচু বাগানে আসামিরা তাকে ধর্ষণ করে। ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণকারীরা তার শিশু বাচ্চাসহ ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার ও জড়িত চারজনকে আটক করে।

 

আলোচিত মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণের কয়েক দিনের মাথায় ঝিকরগাছায় সংঘটিত এই নারী ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাদের বহিষ্কার করে সংগঠনটি। জড়িতদের বিচারের দাবিতে একাধারে কয়েকদিন যশোর ও ঝিকরগাছায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ভুক্তভোগী নারীর চিকিৎসা ও বিচার নিশ্চিতে তার বাড়িতে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।