আগস্ট ৯, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

ইউনুসের বাংলাদেশে বিপন্ন বাকস্বাধীনতা! বরখাস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রতিবাদী’ অধ্যাপিকা

ইউনুসের বাংলাদেশে বিপন্ন বাকস্বাধীনতা! দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ‘অপরাধে’ বরখাস্ত করা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকাকে। তাঁর নাম নীলিমা আখতার। সম্প্রতি গোপালগঞ্জ হিংসা নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন নীলিমা। পাশাপাশি, প্রচার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ। একইসঙ্গে জুলাই আন্দোলন নিয়েও গর্জে উঠেছিলেন অধ্যাপিকা। কিন্তু তা সহ্য হয়নি ইউনুস সরকারের। অভিযোগ, তারপরই নীলিমাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

শুক্রবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে নীলিমা লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমাকে সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব থেকে বিরত করা হয়েছে। আমার অপরাধ, আমি ফেসবুকে মত প্রকাশ করেছি! আমি ২০ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি! আমার বিরুদ্ধে কোনও দিন একটি ছোট্ট অভিযোগও ওঠেনি। শুধু একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আমাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমার অপরাধ আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। ২০২৪ সালের আজকের দিনে প্রোফাইল পিকচারে লাল রং না রেখে আমি শোকের মাসের কালো রং রেখে ছিলাম, বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়েছিলাম। জুলাই আন্দোলনকে প্রতিক্রিয়াশীলদের আন্দোলন হিসাবে আখ্যায়িত করে বক্তব্য রেখেছিলাম! বলেছিলাম, মৌলবাদী শক্তি তরুণদের ব্যবহার করছে। আমার অপরাধ — আমি মধ্যপন্থী এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, যেখানে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। আমার অপরাধ — আমি দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে কথা বলি।’

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জে একটি জন সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রেদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পাশাপাশি, তাঁরা মুজিবের কবর ভাঙার কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছিল তাঁরা। শেখ হাসিনার পতন উদযাপনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ ঘিরে সৃষ্টি হয় তুমুল উত্তেজনা। মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহতের সংখ্যা অন্তত ৯। প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে শেখ হাসিনার পতনের সূচনা হয়েছিল। সেই কারণে এই বছরের ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করে এনসিপি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জেও পদযাত্রা করে দলটি। ওই পদযাত্রা ঘিরেই ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আগুন।