সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে এবং সিরিয়া-ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং সিরিয়ার নেতা আহমেদ আল-শারা ফোনে দামেস্কে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আলোচনায় এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের এই হামলা “অগ্রহণযোগ্য এবং গোটা অঞ্চলের জন্য হুমকি।”
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল বৃহস্পতিবার তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, জেরুজালেমের দাবি, সিরিয়ার দ্রুজ সংখ্যালঘুদের ‘সরকারি বাহিনীর গণহত্যা’ থেকে রক্ষার জন্যই এই সামরিক হস্তক্ষেপ চালানো হয়েছে। তবে আঙ্কারা জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে।
শারা তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তুরস্কের সমর্থন প্রশংসনীয়।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে সম্প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে। সেখানে দ্রুজ সশস্ত্র গোষ্ঠী ও বেদুইন গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিরিয়ান সেনাবাহিনী ট্যাংক মোতায়েন করে। এর পরপরই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ওই ট্যাংক ইউনিটগুলোতে হামলা চালায়। সিরিয়ার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ট্যাংক মোতায়েন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্যাংকগুলো অস্ত্রশস্ত্রমুক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করেছে, যেখানে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সুয়েইদায় চলমান সংঘর্ষে অন্তত ২৫০ জন নিহত হয়েছে। সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি হামলায় আরও তিনজন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল