জুলাই ১৪, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

বাউফলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৮টি সরকারি গাছ কর্তন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মহাসড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। উপজেলার বগাবাহেরচর আঞ্চলিক মহাসড়কের কাছিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর কাছিপাড়া এলাকায় অন্তত ১৮টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

রোববার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব গাছ কাটার হয়। এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত সমর মাস্টার। গাছগুলো কিনে নিয়ে কেটে নিচ্ছেন কালিশুরি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী দুলাল ফকির।

জানা যায়,পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন Human Rights and Peace for Bangladesh (HRPB) গত বছর (২০২৪) মে মাসে গাছ কাটার বিরুদ্ধে একটি রিট দায়ের করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেন। রায়ে বলা হয়, সরকারি বা সামাজিক বনায়নের কোনো গাছ কমিটির অনুমোদন ছাড়া কাটা যাবে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং মানুষের জীবনধারার নিরাপত্তার স্বার্থে গাছ কাটায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রয়োজনীয়তা থাকলে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিশেষ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

হাইকোর্ট আরও মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে গাছের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম, আর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় অতিরিক্ত গাছ কর্তন মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এদিকে, গাছগুলো সরকারের নয়, তার ব্যক্তিগত বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গায়েন বলেন, এই গাছগুলো আমাদের নয়। আমাদের প্রয়োজনীয় গাছ বনবিভাগের মাধ্যমে পূর্বেই কাটা হয়ে গেছে। এসব গাছ কাটা নিয়ে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

বাউফল উপজেলা বন কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, আমরা এলজিইডির কোনো গাছ কাটিনি। প্রকৌশলী হয়তো নিজের দায় এড়াতেই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। জানুয়ারিতে হাইকোর্টের রায়ের পর থেকে আমরা গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া বন্ধ রেখেছি। এলজিইডি আমাদের জানালে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। আমরা এখন প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।