নড়াইলের লোহাগড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সোমবার রাতে তাকে লোহাগড়া থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম এএসআই ইলিয়াস হোসেন ক্লোজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট লোহাগড়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা,মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর লোহাগড়া থানায় ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০০-৩৫০ জনের নামে একটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাবু। ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামি লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা এলাকার জিল্লুর রহমান।
গত ৬ জুলাই এক ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মামলার বাদি বাবু অভিযোগ করেন যে, এএসআই ইলিয়াস হোসেন ও তার দল আসামি জিল্লুর রহমানকে গ্রেফতারের পর অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছেন।
ওই পোস্টে ইয়াজুর রহমান লিখেছিলেন, তার দায়ের করা মামলার আসামি জিল্লুর রহমানকে গত ৫ জুলাই রাতে এড়েন্দা থেকে গ্রেফতার করেন লোহাগড়া থানার (এএসআই) ইলিয়াস হোসেন ও তার দল। এসময় ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৩০ হাজার নগদ পরিশোধ এবং ১০ হাজার টাকা বাকি রাখা হয়।
ওই পোস্টে ইয়াজুর রহমান আরও লিখেছেন, লোহাগড়া থানার ওসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বাকি ১০ হাজার টাকা আমার এক পরিচিত ভাইয়ের কাছে রেখে গেছে আসামি, টাকাটা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। এরপর তার পোস্টে পুলিশকে নিয়ে নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য শুরু করেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে (এএসআই) ইলিয়াস হোসেন বলেন, একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে আসামি জিল্লুর রহমানকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে আমরা তাকে না পেয়ে ফিরে চলে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছ তা সত্য নয়। আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার দিয়ে রাখলাম।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ ওঠায় ওই এএসআইকে সোমবার রাতে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে ।