জুভেন্টাসের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানের কষ্টার্জিত জয়ে ফিফা ক্লাব ব্শ্বিকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণী গোলটি করেন গঞ্জালো গার্সিয়া।
এই ম্যাচেই প্রথমবারের মতো চলতি টুর্নামেন্টে মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামলে ফরাসি তারকাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন হার্ড রক স্টেডিয়ামে ভিড় করা রিয়াল সমর্থকরা।
এমবাপে গ্রুপ পর্বে গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের কারণে খেলতে পারেননি। তার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া গার্সিয়া দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে দেন দলকে। কোয়ার্টার ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড অথবা মন্টেরের বিপক্ষে খেলবে রিয়াল।
জুভেন্টাস ম্যাচের শুরুতে কিছু সুযোগ তৈরি করলেও রিয়ালের টানা প্রেসিংয়ের মুখে ধীরে ধীরে নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। গোলরক্ষক মিশেল দি গ্রেগোরিও অসাধারণ কিছু সেভ করে দলকে বড় ব্যবধানে হার থেকে রক্ষা করেন।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই জুভেন্টাসের ফরোয়ার্ড কুলো মুয়ানি রিয়াল রক্ষণ ভেদ করে চিপ শট নেন। কিন্তু বলটি সামান্য ওপর দিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই জুভেন্টাসের কেনান ইয়িলদিজ দূর থেকে শট নেন। কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে থাকে রিয়াল। জুভেন্টাসের রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগে জুড বেলিংহ্যাম কোণাকোণি শট নেন। কিন্তু গোলবার নিরাপদ রাখেন দি গ্রেগোরিও। হাফটাইমের আগে ফেদেরিকো ভালভার্দের দূরপাল্লার শট রুখে দেন তিনি। অর্থাৎ গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও বেলিংহ্যাম ও হুইসেনের দুটি শট রুখে দেন দি গ্রেগোরিও। কিন্তু ৫৪ মিনিটে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের নিখুঁত ক্রসে গার্সিয়া হেড করে বল জালে পাঠালে অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকেন ইতালিয়ান এই কিপার। এটি ছিল চলতি টুর্নামেন্টে গার্সিয়ার তৃতীয় গোল।
ভালভার্দে বাইসাইকেল কিক নিয়ে আবারও গোলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দি গ্রেগোরিওর দুর্দান্ত রিফ্লেক্স সেই গোলও ঠেকিয়ে দেয়।
এই ম্যাচে এমবাপে মাঠে নেমে ভালো পজিশনে থাকলেও সতীর্থদের কাছ থেকে উপযুক্ত সহায়তা পাননি। তাই ক্লাব বিশ্বকাপে ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের অভিষেকটা অনেকটা গা গরমের ম্যাচের মতোই মনে হয়েছে।