জুলাই ৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

মাগুরার সাবেক এসপি-ওসি-ইউএনও সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নামে মামলা

মাগুরার সাবেক পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার মাগুরা সদর আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঘটনার তদন্তে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, সোমবার মাগুরা সদর আমলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল রুমন।

মাগুরা শহরের ভায়না গ্রামের মৃত ইন্তাজ শিকদারের ছেলে ফয়সাল রুমন দায়েরকৃত মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে মাগুরার তৎকালীন পুলিশ সুপার খান মো. রেজোয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম, এসআই আল এমরান, এসআই বিশ্বজিত, কনস্টেবল পার্থ রায় এবং মাগুরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল এবং মুরাদুজ্জামান মুরাদ নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ছাত্রদল নেতা ফয়সাল রুমনের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট এবং ১৩ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ করে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ১৮ আগস্ট মাগুরা সদর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে আটকের পর নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এতে তার স্পাইনাল কর্ড এবং মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়।

এ ঘটনার পরদিন ফয়সাল রুমনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে ১৬৮ দিন বিনাবিচারে কারাবন্দি রাখায় সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ হওয়া সত্ত্বেও সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাছাড়াও মিথ্যা মামলার কারণে তার ৫০ কোটি টাকার মানহানির ঘটনা ঘটেছে। বাদী মামলাটিকে মিথ্যা ও সাজানো দাবি করে বিচার চেয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে নির্যাতন করায় বাদী সারা জীবনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছেন। বাদী সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত ৬ কর্মকর্তাকে আসামি করেছেন। বিধায় বাদী ৩০ জুন মামলাটি দায়ের করলেও আদালতের বিচারক সবদিক বিবেচনা শেষে ১ জুলাই মঙ্গলবার মামলাটি আমলে নিয়ে এটি তদন্তের জন্যে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।