বিদেশে বসে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে প্রবাসে বসবাসরত প্রায় ৪৭ হাজার বাংলাদেশি আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি তৈরি করা প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ইসি কর্মকর্তারা, আমরা ৯টি দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছি। এ দেশগুলো থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজারের মতো প্রবাসী ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি আবেদন আমরা তদন্ত করে অনুমোদনও করেছি।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে জাপানে ভোটার কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমেরিকাতে আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে আমি আশা করছি।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নয়টি দেশ থেকে মোট আবেদন পড়েছে ৪৬ হাজার ৯৮২টি। উপজেলা নির্বাচন অফিসে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে ২২ হাজার ৫৭৫টি আবেদন। তদন্ত শেষে আবেদন অনুমোদন হয়েছে ২০ হাজার ২৬৬ জনের। অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ৪৯৫ জনের আবেদন। আর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি নেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৫৫০ জনের। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৯ হাজার ৫৬২টি। আর সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে অস্ট্রেলিয়ায় ১৫৩টি। এ ছাড়া বাতিল করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৬ টি আবেদন।
বর্তমানের নয়টি দেশের ১৬টি স্টেশনে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি। দেশগুলো হলো-সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। এসব দেশ থেকে ৪৭ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ভোটার করে নিয়েছে ইসি।
প্রায় ৪০টি দেশে দেড় কোটির মতো বাংলাদেশি রয়েছে, যাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও এনআইডি পাওয়ার সুবিধার্থে প্রবাসে ভোটার কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। চলতি বছরে নতুন করে ৬০ লাখের বেশি ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যা সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার যোগ্যদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করবে নির্বাচন কমিশন।