বিতর্ক ওঠায় আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল গণি টিটুকে সরিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নিয়োগ দেয়া হবে নতুন আইনজীবী।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদালত অবমাননার মামলায় একজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নিয়োগ পাওয়া অ্যামিকাস কিউরি হলে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান।
১৯শে জুন, বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ।
এদিন ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি -এমন বক্তব্যের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি হয় আজ।
এ ধরনের মামলায় কোনো ব্যক্তির পক্ষে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগ দেয়ার বিধান না থাকলেও ন্যায় বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরও হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কোনো ব্যাখ্যা দেননি শেখ হাসিনা। এখন আইন অনুযায়ী এই দুজনের সাজা দিতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১ বছরের সাজা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ২২৭ মামলায় ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি, গাইবান্ধার এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।