জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ রাজনীতি

আওয়ামী লীগের ফিরে আসার লড়াই সহজ করে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার!

ভওস : কীভাবে? ১. মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু বা ইতিহাস বিষয়ে ড. ইউনূসের রিসেট বাটনে চাপ মানুষ যারপরানই অখুশি। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধ্বস নামে।

২. নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। মানুষ শেখ হাসিনা ভালো ছিলেন বলতে বাধ্য হয়। জনে জনে এখন বলতে শুরু করেছে, আগের আমলই ভালো ছিলো। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে ছাড়া এদেশকে ভালোভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। জনরোষ ক্রমেই বাড়ছে। ইউনূস সরকার কোণ্ঠাসা হয়ে পড়েছে।

৩. ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ শাপেবর হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের জন। অন্তর্বর্তী সরকার যে প্রতিহিংসার বশবতী হয়ে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করেছে, এ নিয়েও বিরূপ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সরকারকে। এটা আওয়ামী লীগের জন্যই প্লাস হয়ে দাঁড়িয়ে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
৪. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে সরকারের ওপর থেকে। প্রায় তিন মাস হলেও কার্যত দেশে কোনো শৃঙ্খলা নেই। শহরগুলোতে যানজট নিত্যসঙ্গী। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরীর যানজট মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষুব্ধ নগরবাসী সরকারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

৫. জাতীয় পার্টি কার্যত এতোদিন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে আসলেও হঠাত সংলাপে না ডাকা এবং দলটির কার্যালয়ে হামলা-আগুন দেওয়ায় মানুষের সহানুতিভূতি জাতীয় পার্টির দিকে। এতে আওয়ামী লীগেরই উপকার হয়েছে। কার্যত জাতীয় পার্টিকে নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আওয়ামী লীগের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাতে আওয়ামী লীগের দল ভারী হয়েছে। যা আন্দোলনে কাজে আসবে।

৬. সমন্বয়কদের কার্যত লাগামছাড়া, কেউ কেউ বলছেন, স্বৈরাচারী আচরণে কার্যত ইউনূস সরকার ব্যর্থ হতে চলেছে। সবখানে মব সন্ত্রাস করে আতঙ্কজনক পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। পদত্যাগের মতো ঘটনানো হচ্ছে। কিন্তু ইউনূস সরকার তা দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তারা যা বলছে সেটাই করা হচ্ছে। এতে মানুষ চরম অসন্তুষ্ট।

৭. শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও বিচারবিচেনাহীনভাবে শতশত মামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহনা মানুষ। আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে হত্যাযজ্ঞ চালানোর যে অভিযোগ তার বিভিন্ন প্রমাণ বের হচ্ছে। একজন সমন্বয়ক তো স্বীকার করেই নিয়েছেন যে, যদি মেট্রোরেল ও পুলিশ হত্যা করা না হতো তাহলে আন্দোলন সফল হতো না। আন্দোলনে সফলতার জন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।