জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

এখনও সময় আছে ভুল সংশোধনেরঃ প্রেসিডেণ্ট ইমার্জেন্সি দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন!

মাসুদ রানা : বাংলাদেশের ধর্মবাদীরা ১৯৭১ সালে যেভাবে ব্যর্থ হয়ে ভুল করেছিলো বাঙালীর জাতি-পরিচয় ও তার আবেগকে বুঝতে, এতো বছর পর ২০২৪ সালেও তারা একই ভুল করে ১৯৭১ সালের বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রটিকে চরিত্রগতভাবে পালটে দেওয়ার চতুর চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

আমার বিশ্বাস, এবারও ধর্মবাদীরা জাতীয়তাবাদীদের কাছে পরাজিত হবে। তবে, এবারের পরাজয় হবে ১৯৭১-এর চেয়ে আরও গভীরে। কারণ, বিশ্ব জাতি-বিভক্ত ও জাতিময়। জাতীয়তা কোনো আদর্শ বা বিশ্বাস নয়। জাতীয়তা হচ্ছে প্রাকৃতিক অনুভূতি ও এর ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা, যা একটি স্বাভাবিক মানবিক-প্রবণতা।

বিপরীতে, ধর্ম প্রাকৃতিক নয়, অতিপ্রাকৃতিক আদর্শ। আর, আদর্শ মানুষের স্বাভাবিক স্টেইট অফ মাইণ্ড নয়, কোনো-না-কোনো সময়ে তাকে বাড়তি বোঝা মনে হয়। আর, তখনই মানুষ আদর্শের বোঝা ফেলে দিয়ে প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক হতে চায়।
বাঙালী জাতি যেহেতু রাজনৈতিকভাবে খুবই সেনসেটিভ বা সংবেদনশীল, বর্তমান পরিস্থিতিতে ধর্মবাদীরা যা করছে এবং এর ফলে বাঙালী সাধারণ তাদের জাতীয় আত্মপরিচয়ের প্রতি হুমকি অনুভব করছে, তা দ্রুতই ধর্মবাদী ও তাদের নিয়ন্ত্রিত সরকারের বিরুদ্ধে দানা বাঁধতে শুরু করবে।

এ-পরিস্থিতিতে যদি নতুন কোনো জাতীয়তাবাদী শক্তির অভ্যূদয় না ঘটে, পুরনো জাতীয়বাদী শক্তি হিসেবে গণধিকৃত হওয়া সত্ত্বেও দুঃখজনকভাবে জনগণ আওয়ামী লীগের শিবিরেই আশ্রয় নেবে। তাই, আমি মনে করি, এখনও সময় আছে ভুল সংশোধনের। কীভাবে? নীচে বলছি।

সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক প্রেসিডেণ্টের উচিত ১২০ দিনের ইমারজেন্সি বা জরুরি আইন ঘোষণা করা, এবং ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের ফ্রী ও ফেয়ার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে সকল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
আমি মনে করি নির্বাচনের ঘোষণা স্বাভাবিক সাংবিধানিক রাজনৈতিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেবে, এবং জাতি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিস্থিতিতে প্রকৃতস্থ হবে। ২০/১০/২০২৪। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড