নাদিম মাহমুদ : দেশর সংকটকালীন সময়গুলোতে গণমাধ্যমের একটি শক্তিশালী ভূমিকা থাকে। যখনই আমাদের শাসকরা ভুল-পথে পা দিয়েছে, তখনই পত্রিকাগুলোই জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। এবার কিছুটা ব্যতিক্রম আমার চোখে ধরা পড়ছে।
অন্তবর্তীকালিন সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাহী আদেশে ‘পনের আগস্ট’ জাতীয় শোক দিবস বাতিল করল, তখন অজ্ঞাত কারণে আমাদের গণমাধ্যমগুলো চুপ হয়ে ছিল। সরকারের সিদ্ধান্তটি ‘সঠিক না বেঠিক’ এই নিয়ে পত্রিকাগুলোতে আমি অন্তত কোন মতামত, বিশ্লেষণ কিংবা সচেতন নাগরিক সমাজের মুখ নিঃসৃত বাণী দেখতে পাইনি।
আর সেই সুযোগটি গ্রহণ করেছে ‘সরকার’। ১৫ আগস্ট বাতিলের প্রায় দুই মাস পর ৭ই মার্চ, ১৫ আগস্ট আর ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে বাতিলের জন্য মোড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে শেখ হাসিনার পরিবারের কিছু ছুটি। আটটি দিবস বাতিলের একদিন আগে জানানোর পর চারিদিকে যে বিতর্ক চলছে, তাকে উপেক্ষা করে সরকার এরই মধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।
বিষয়টিকে আমাদের গণমাধ্যমগুলো কিছুটা ‘নীরব’ থাকলেও ‘ডেইলি স্টার’ তার অবস্থান পরিস্কার করেছে। আজ মাহফুজ আনাম যে ‘মন্তব্য কলাম’ লিখেছে তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট আর ৪ নভেম্বর আমাদের জাতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দিন যা কখনোই মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বোচ্চ নেতা তাকে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড দিয়ে মূল্যায়নের কোন সুযোগ নেই। তিনি সু-স্পষ্টভাবে বলেছেন, ৭ মার্চ ভাষণ আমাদের মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পগুলোতে শোনা হতো, যা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা দিতো। তের বছর জেল খাটা বঙ্গবন্ধুর সাথে কারো তুলনার সুযোগ নেই
আমি মাহফুজ আনামের এই বলিষ্ঠ কণ্ঠকে শ্রদ্ধা জানাই। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন অনেক গণমাধ্যম এসেছে, যে কথাগুলো মাহফুজ আনাম বলেছে, সেই কথাগুলো সব পত্রিকার বলা উচিত ছিল, কিন্তু তারা ফেইল মারল। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোন আপস হবে না, তা The Daily Star প্রমাণ করল। ফেসবুক থেকে