জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ মতামত

মার্কিন সমর্থিত জামায়াত-হিজবুত চালিত অভ্যুত্থান এবং মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম অ্যান্ড গং!

কুলদা রায় : হাইকোর্টে ২৩ জন নতুন বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছেন। এদের অন্যতম আইনুন নাহার সিদ্দিকা লিপি। ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা রেজিমের পতনের পরে লিপি ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কোটা বিরোধী আন্দোলনে তিনি বেশ সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছিলেন। লিপি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

কমিউনিস্ট পার্টিতে এখন দুটি ধারা বিদ্যমান। একটি মস্কোপন্থী। আরেকটি মার্কিনপন্থী। মস্কোপন্থী ধারার নেতা হলেন শাহ আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, এম এম আকাশ। মার্কিনপন্থী ধারার নেতা হলেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সিপিবির সাবেক সভাপতি। বর্তমান কমিটির সদস্য। ইউনূস কথিত সুপরিকল্পিতভাবে মার্কিন-জামায়াত-হিজবুত তাহেরির নেতৃত্বে হাসিনাকে সরিয়ে দিয়ে যে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে, মুজাহিদুল ইসলাম অ্যান্ড গং হলেন তার অন্যতম স্টেক হোল্ডার বা পার্টনার।

জামায়াতে ইসলামী, হিজবুত তাহেরির লোকজনকে ইউনূস সরকার দেশের নানা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের দুজন অনুসারীকেও সরকারি পদে নেওয়া হয়েছে। একজন হলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। আরেকজন হলেন- আইনুন নাহার সিদ্দিকা লিপি। এ দুজনের নাম প্রস্তাব করেছেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। লিপি এখনো কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রয়েছেন। তিনি পার্টির মেম্বরশিপ রেখেই সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। নৈতিকভাবে সিপিবি থেকে লিপির পদত্যাগ করা উচিত। তিনি সেটা করবেন কিনা জানা যায়নি। তবে জামায়াত-হিজবুতের সরকারে নিয়োগ পেয়ে লিপি কি আর কখনো কমিউনিস্ট হিসেবে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন? চাকরি শেষে কি কমিউনিস্ট হিসেবে ফিরতে পারবেন? এই প্রশ্নটি জাগে।

প্রথমালোর সম্পাদক মতিউর রহমান এক সময় সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির বিরাট পদাধিকারী নেতা ছিলেন। পার্টি তাকে সেনাবাহিনীতে পার্টি গড়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল। মতিউর রহমান কিন্তু সেনাবাহিনীতে পার্টি গড়ার বদলে নিজেই কমিউনিস্টগিরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। হয়েছিলেন সেনাবাহিনীর গুপ্ত এজেন্ট। তারপর মার্কিনী এজেন্ট হিসেবেই কাজ করে চলেছেন। এই মার্কিন সমর্থিত জামায়াত–হিজবুত চালিত অভ্যুত্থানের অন্যতম স্টেক হোল্ডারও তিনি।
যারা একবার কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শের বাইরে ভূমিকা পালন করতে যান তারা আর কমিউনিস্ট হিসেবে থাকেন না। নিজের আদর্শকে বিকিয়ে দেন। হয়তো লিপিও তাই হবেন।

কদিন আগে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে। সেখানে কোনো প্রস্তাব পাস করতে দেননি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এন্ড গং। তারা পাল্টা একটা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। সেখানে এই জামায়াত হিজবুতি ইউনুস সরকারের পক্ষে পার্টির অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পরে দেশে কোনো সংখ্যালঘুদের উপর কোনো নিপীড়নের ঘটনা ঘটেনি। পাহাড়ে আদিবাসি আন্দোলন, আনসারদের আন্দোলন– এসবই হলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পরিচালনায় ঘটছে।

এই প্রস্তাবের প্রতি অনাস্থা আনা হলে সিপিবির মার্কিনপন্থী নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ক্বাফি রতন, অভিনু কিবরিয়া ক্ষেপে যান। সেলিম সাহেব একপর্যায়ে ডা: রুবেলের কলার চেপে ধরেন।
সূত্র : https://www.facebook.com/@porimanob/