সৈয়দা সাজিয়া আফরিন : সমস্যা তো আপনারা গোড়ায় করে ফেলছেন। আগে আপনাদের কথা ছিল দুর্নীতি নিয়ে, স্বজনপ্রীতি নিয়ে, ভোটবিহীন ক্ষমতা নিয়ে, রাষ্ট্রীয় হত্যা নিয়ে। ৫ আগস্টের পর আপনাদের কথা দাঁড়াইছে এগুলো সব রেখে আওয়ামী লীগের বয়ান নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে। যেহেতু ভোটাভোটিতে আপনারা আসেন নাই। এমনকি কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমেও আসেন নাই। আপনাদের এজেন্ডা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দেওয়াটা কি স্বাভাবিক নয়?
তো ডিয়ার অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকার-এ বয়ান নাকচ ও নতুন বয়ান তৈরির পদ্ধতিতে আপনারা মোটামোটি পুরা দেশকে এবং দেশের মানুষকে বিরুদ্ধে দাঁড় করায়ে দিছেন। বাজারের মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও একই অনিয়ম আপনাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই। আবার বক্তব্য যা দিচ্ছেন ব্যপারটা পতিত সরকারকে তো ছাড়ায়ে যাইতেসেন। আস্তে আস্তে দেখবেন ক থেকে চন্দ্রবিন্দু সবাইকে আপনার পতিত সরকারের দোসর মনে হতে থাকবে। মনে হতে হতে আপনি দেখবেন আপনার সমর্থনে আপনি নিজে ছাড়া আর কেউ নাই।
ডিয়ার আওয়ামী ক্রিটিক ভাইয়া ও আপ্পিরা-আওয়ামী সরকার গন চ্যাপ্টার। তল্পিতল্পাসহ চলে গেসে। আপাতত তাদের ফেরার রাস্তা নাই। সুতরাং এখন ক্রিটিক হবে এই সরকারের। ক্রিটিকের নিয়মই ওইটা। ক্ষমতা সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার হচ্ছে কী না দেখা। ক্ষমতায় থাকা মানুষকেও সাধারণভাবে না দেখে ক্রিটিক্যালি দেখা। সেইটা আপনারা দেখতেসেন না। দেখতে পারতেসেন না। এরকম সমস্যা হয় কোন দল করা ব্যক্তির অথবা দলের বেনিফিশিয়ারি ব্যক্তিদের। সুতরাং ক্রিটিক হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা আপনি হারান। মানে আপনি কোন ক্রিটিক নন। আপনি দলের নিরিখে অরাজনৈতিক নন সাধারণ কেউ নন। আপনি বেনিফিশিয়ারি। লেখক: সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। https://www.facebook.com/syedasaziaafrin/photos