জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
মতামত

যারা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর বক্তব্য প্রচার করছেন, তারা সচেতনভাবেই কিছু মিথ্যাকে প্রচারে এনে নিজের অবদমিত মিথ্যাপ্রচার আকাঙ্খা চরিতার্থ করতে চাচ্ছেন না তো?

মনজুরুল হক: যারা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর বক্তব্য প্রচার করছেন, তারা সচেতনভাবেই কিছু মিথ্যাকে প্রচারে এনে নিজের অবদমিত মিথ্যাপ্রচার আকাঙ্খা চরিতার্থ করতে চাচ্ছেন না তো?

মাহফুজ আলম নতুন কিছু বলেননি। তার এই বক্তব্য-“১৯৭১ হয়েছিল বাঙালি মুসলমান সম্প্রদায়ের দুটি বোঝাপড়া থেকে।” যেটাকে তিনি ‘বয়ান’ বলছেন, সেটা অনেকদিন ধরে ফরহাদ মজহার বলে আসছেন। ইদানিং জাকির তালুকদারও বলছেন।

মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে এধরণের মেঠো শয়তানি এইসব বগলে ইট রাখা বুদ্ধিব্যপারিদের সিলেক্টিভ এজেন্ডা। গোয়েবলসীয় সূত্রমতে ‘নির্জলা মিথ্যা বোল্ডলি প্রচার করে ফেমাস করে দিতে হবে’। একবার সেটা স্প্রেড করলে নিরপেক্ষরা ভাবতে বাধ্য হবে-‘রটে যখন, তখন কিছু তো বটেই’।
এইটুকুই ওদের চাওয়া। ওরাও জানে এসব মিথ্যা। তার পরও সুযোগমত প্রচার চালায়। তাতে যে কয়জন গেলে সেইটুকুই প্রফিট।
আপনি অজান্তেই তাদের পারপাস সার্ভ করছেন না তো? ভাবুন।

মুক্তিযুদ্ধ কোনও বিশেষ ধর্মবিশ্বাসীরা করেনি। করেছিল এই জনপদের মানুষ। তাদের মধ্যে সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণ-পেশার মানুষ ছিল। প্রতিপক্ষ উপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি। তাদের ধর্ম কী ছিল সেটা মোটেও ম্যাটার করে না।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনও এঁড়ে-বাছুর-বলদ অর্ধ শতাব্দী পরে কি তত্ত্ব দিল বা আরও দুশ’ বছর পরে কি তত্ত্ব দেবে তাতে মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য-বিধেয় তিল পরিমানে বিচ্যুত হয়নি, হবেও না। ৫ অক্টোবর ২০২৪। লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট। সূত্র : https://www.facebook.com/monjuraul