জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ কি গৃহযুদ্ধ বা প্রতিবেশীদের সাথে যুদ্বের সম্মুখীন ?

এই কথাটি আমার মাথায় কেন আসলো ? কারণ আরব বসন্ত! সাম্প্রতিক যে অনৈতিক ছাত্র আন্দোলন হলো তার সাথে একটি বৈশিষ্ট মিল আছে আর তাহলো বহিঃশক্তির ( বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও আমেরিকার) ইন্দন ও আজ্ঞাবহ পুতুল সরকার এখন বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন। আরব বসন্ত শুরু হয় ২০১০ এর শুরুর দিকে তিউনিশিয়াতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে, তারপর যা ছড়িয়ে পরে লিবিয়া, ইজিপ্ট (মিশর), ইয়েমেন, সিরিয়া এবং বাহরাইনে। নামটা আরব বসন্ত কেন ? কারণ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল আরবে আর বসন্ত হলো সুন্দর একটি সময়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সবাই আশা করেছিল যে ক্ষমতার পালা বদলের পর তারা দুর্নীতি মুক্ত, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা পাবে। কিন্তু আদতে কি হয়েছিল ? আন্দোলনের ফলে প্রতিটি দেশেই ক্ষমতার পালা বদল হয়েছিল । ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল ২০১১ সালে তিউনিসিয়ার জাইন এল আবিদিন বেন আলী, লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফি, মিশরের হোসনি মুবারক এবং ২০১২ সালে ইয়েমেনের আলী আবদুল্লাহ সালেহকে । কিন্তু জনগণের কি আশা পূরণ হয়েছিল? এক কথায় বললে বলা হবে না। তিউনিশিয়া ও মিশরে দুর্নীতি আরো বহুগুনে বৃদ্দি পায়। আর বাকি দেশগুলো অবস্থা আরো ভয়াবহ, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং লিবিয়াতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। কেন এমন হলো কারণ বহিঃশক্তি হলো গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা , তারা এইটা বিক্রি করে তাদের লাভের জন্য। তারা প্রকৃতপক্ষে চায় না কোনো দেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা হোক। সর্বোপরি তারা তাদের সার্থকেই প্রাধান্য দিবে।

এখন দেখা যাক বাংলাদেশের সাথে এর সম্পর্ক্য কি ?

বাংলাদেশে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় তার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ক্ষমতা নিয়েই সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য হুমকি দিলেন ভারতের সেভেন সিস্টার ও নেপালকে তিনি দেখে নিবেন । এখন ভারত কি এটা খুব ভালো ভাবে নিবে অবশ্যই না , ভারতের মতো একটি সুপার পাওয়ার যাদের দ্বারা আমরা প্রায় তিন দিক থেকে আবদ্দ, তাদের সাথে কি আমাদের যুদ্দ্ব করার সামর্থ আছে ? তিনি কি বাংলাদেশের জনগণের ভবিষৎ নিয়ে খেলতেছেন না ? আরো একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাহলো সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর নিশংস হত্যাযজ্ঞ। সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সাথে যারা জড়িত ছিল তারাই কিন্তু শুধু বাংলাদেশে না , আওয়ামীলীগের একটি বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী আছে , হয়তো তারা এখন সংগঠিত নয় , একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, সেনা বাহিনীর সহযোগিতায় একটি অনৈতিক সরকার গঠন হয়েছে এবং পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মামলা শুরু হয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কিন্তু ঘুরে দাঁড়াবে, এবং এই হামলা ও মামলা যদি চরম আকার ধারণ করে তখন তারাও আত্মরক্ষার্থে হামলা শুরু করবে এবং দেশে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে ( একটি সম্ভাবনা)। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দূর্নীতির অভিযোগ থাকলে বিচার হোক কিন্ত রাজনৈতিক কারণে হামলা ও মামলা বন্ধ করা উচিৎ। দেশে একটি সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা শুরু হোক এবং বহিঃশক্তির দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত হওয়া ঠিক হবে না। তাই সাধু সাবধান।

ড. হুমায়ুন কবীর

ভাইস প্রেসিডেন্ট

টেনস্টা হিউলসটা সোশ্যাল ডেমোক্রাট

সদস্য, স্টোকহোম সিটি প্ল্যানিং কমিটি

স্টোকহোম , সুইডেন

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service

    PROS

    +
    Add Field

    CONS

    +
    Add Field
    Choose Image
    Choose Video