দেশটির স্কুলে মাতৃভাষা শিক্ষার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলগুলোর বিদ্বেষপূর্ণ প্রস্তাব সামনে রেখেই এই বছর স্টকহোমের সিটি হলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছিল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী আনা একস্ট্রোম (এস) জোর দিয়েছিলেন যে মাতৃভাষার ভাল জ্ঞান কেবল ব্যক্তিকে ধনী করে না, সুইডেনকেও সমৃদ্ধ করে।
দ্বিতীয় বছরের জন্য সিটি হলে ঐই উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এবং বক্তৃতা এবং সঙ্গীত ছাড়াও, বাংলাদেশের খাবার ছিল। আমন্ত্রণকারী ছিলেন টেনস্টা-হজুলস্তার সোস্যাল ডেমোক্রাট সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির এবং ডেপুটি ফিন্যান্সিয়াল কাউন্সিলর অ্যান্ডার্স ওস্টারবার্গ (এস)। এই বছরের বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক সংসদ সদস্য মিরীয়া রায়হি এবং মাতিয়াস ভেপস, পাশাপাশি বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
বাঙ্গলী কমিনিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ড . ফরহাদ আলী খান , মনজুরুল হাসান মঞ্জু , শাহ আলম চৌধুরী , জেসমিন সৈয়দা , যুবায়দুল হক সবুজ , ড . নাওয়াজ হোসেন অরূপ অনুষ্ঠানে বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য নিয়র বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে স্থায়ী শহীদ মিনারের দাবিটি আরও জুরালোভাবে উপস্থাপন করেন | সুইডিশ নেতৃবৃন্দ একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত বক্তব্যের মধ্যে জানিয়ে দেন |আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্টোকহোম সিটি হলে বাংলাদেশি কমিনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযুদ্ধা সামসুল আলম , বীরমুক্তিযুদ্ধা আব্দুল হান্নান , কামরুল হাসান , সিরাজ বেপারী , শ্যামল দত্ত , মোর্শেদ বাপ্পি , ডাক্তার শুভ রক্ষিত, আনিস হাসান তপন , খান সালেহ , মাসুদ রানা , আব্দুল্লাহ আল মাসুম , আশিকুর রাজি , আরিফ হোসেন সুমন , মুক্তাদির বাবু , অন্তরা , বখতিয়ার , চৈতি , সাদমান সাকিব সহ আরো অনেকেই | অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ড. হুমায়ূন কবীর, সদস্য স্টকহোম সিটি প্ল্যানিং কমিটি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী।
গত বছরের মতো এবারও সুইডেনের বাঙালি সম্প্রদায়ের অনেকেই অংশগ্রহণ করেছেন। মাতৃভাষা দিবসটি বাঙালির জাতীয় ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের অংশ ছিল, ছাত্ররা উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য লড়াই করেছিল। ১৯৫২ সালে ঢাকায় একটি বিক্ষোভে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিল, তাই ৪৮ বছর পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠার সময় ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে বেছে নিয়েছিল।
Leave feedback about this