ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে প্রথমবারের মতো ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করলেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
চেন্নাইয়ের আইআইটি-মাদ্রাজে গত রোববার (১০ আগস্ট) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, হামাস, লস্কর-ই-তাইয়েবা (এলইটি), দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টসহ (টিআরএফ) আরও কয়েকটি সংগঠন স্থায়ীভাবে ভারতের উদ্বেগের বিষয়।
ভারত এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা থেকে বিরত থেকেছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এরই মধ্যে এই তকমা দিয়েছে।
ভারতের দাবি, হামাস ঐতিহাসিকভাবে কাশ্মীর ইস্যুতে জড়িত না হলেও, এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ‘কাশ্মীর সংহতি দিবসে’ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) হামাস সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায় লস্কর-ই-তাইয়েবা, জইশ-ই-মোহাম্মদসহ অন্য পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনের পোশাকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে ‘ভারতের কাছ থেকে কাশ্মীর ছিনিয়ে নেওয়া হবে’ বলে বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তিদের হামাস সদস্য বলছে ভারত। এসব ঘটনা নয়াদিল্লির নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ তৈরি করে।
এর আগে, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার আগে ভারতের প্রতি হামাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিল ইসরায়েল।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গেও কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে বলে সেই পদক্ষেপ নেয়নি ভারত।
তবে জেনারেল দ্বিবেদীর সর্বশেষ মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ‘অপারেশন সিঁদূর’র পর ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি দক্ষিণ এশিয়ার সীমানা পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনাকারী ও কাশ্মীর প্রেক্ষাপটে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া সংগঠনগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
সুত্র -এনডিটিভি।