রাজধানীর মিরপুরের ১৬ নম্বর সেকশনে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে বিক্রির জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের ব্যয় ১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৭ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।
প্রকল্পটির নাম ‘ঢাকার মিরপুরস্থ ১৬ নং সেকশনে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের নিকট বিক্রির জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহসূচনা)’। এটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের ২ নম্বর প্যাকেজের (ভবন-২ ও ৩) কাজ করছে এম জামাল অ্যান্ড কোম্পানি এবং পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জেভি) নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্যাকেজের প্রাথমিক ব্যয় ছিল ৯৫ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৫ টাকা।
চুক্তি অনুসারে নির্মাণকাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত বা টেন্ডারবহির্ভূত কিছু আইটেম হ্রাস বা বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে হয়েছে ১০৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯২ টাকা।
এদিকে প্রকল্পের ৩ নম্বর প্যাকেজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর কাজ করছে এমসিএল ও এইচএসএল (জেভি) নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ছিল ৯৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ২০ টাকা।
চুক্তি অনুসারে নির্মাণকাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত বা টেন্ডারবহির্ভূত কিছু আইটেম হ্রাস বা বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৮ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৩০১ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে হয়েছে ১০৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ টাকা।
অন্যদিকে বৈঠকে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’-এর ভূমি উন্নয়নের পূর্তকাজের ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের পূর্তকাজ ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে।
চার দরপ্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সবোর্চ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমেটেড, ঢাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।