দেশের সরকারি চাকরির সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ মঙ্গলাবার (২৭ মে) সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে একটি ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত করার নীলনকশা অনুযায়ী অবৈধভাবে রাষ্ট্র দখলকারি ইউনূস গ্যাং ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর অনুমোদনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের নির্ভয়ে প্রশ্ন না করা, মাথা না তোলা, নির্দেশ পালনের জন্য একান্ত বাধ্যগত বানিয়ে রাখার নিবর্তনমূলক কালাকানুন জারি করেছে যা সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, কর্মচারীদের পেশাগত স্বাধীনতাকে খর্ব করার একটি সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত।’
ছাত্রলীগ জানায়, ‘বাক-স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার, কর্মক্ষেত্রে ন্যায়বিচার, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতার চূড়ান্ত অপমৃত্যু ঘটিয়ে একটি পরিকল্পিত আইনগত কারাগার তৈরি করে, একচেটিয়া শাস্তির বিধান রেখে, আপিল করার সুযোগ না দিয়ে উপনিবেশিক আমলের ন্যায় এই কালাকানুন বিশ্বের যে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অকল্পনীয়। ছুটি, কর্মবিরতি, ধর্মঘটের মতো সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ‘অনানুগত্যের’ দোহাই দিয়ে নিকৃষ্টভাবে যে কোন কিছুতে নির্লজ্জ ‘আনুগত্য’ প্রতিষ্ঠা করে একটি জঙ্গিরাষ্ট্র, মৌলবাদী ভাবাদর্শ, সাম্প্রদায়িক নীতি ও বৈষম্যমূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি চাকরি আইনে সংশোধন এনেছে অনির্বাচিত-ফ্যাসিস্ট ইউনূস।’
সংগঠনটি জানায়, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ‘সরকারি চাকরি আইন’ প্রণয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সেবাকে গণমুখী, নাগরিকবান্ধব, আভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা তৈরি, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, সৃজনশীলতা সৃষ্টি, ইতিবাচক প্রতিযোগীতা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছিলো। যেকারণে সরকারি চাকরিতে তরুণ প্রজন্মের মর্যাদাপুর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছিলো, আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলো।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে গতিশীলতা-কার্যক্ষমতা-শক্তিশালী প্রশাসন কাঠামো করোনা মহামারি মোকাবিলা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি প্রশমন, দারিদ্রতা হ্রাস, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা, গণস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশকে অনুকরণীয় অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছিলো। ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ প্রশাসনের গতি ও কার্যকারিতা এবং জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি করেছিল।’
‘অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে একটি ‘দাসত্বমূলক’ চাকরি আইন প্রণয়ন করে স্বৈরতান্ত্রিক পন্থায় ইউনূস ও তার সন্ত্রাসী-খুনি-জঙ্গিবাহিনী বাংলাদেশকে নিয়ে যে খেলায় মেতে উঠেছে তা বাংলার জনগণ, ছাত্রসমাজ কেউ গ্রহণ করবে না। এই কালাকানুন সহ স্বাধীনতাবিরোধী ইউনূসকে উৎখাত করে জনগণের প্রতিনিধির কাছে রাষ্ট্রের দায়িত্ব বুঝে দেয়ার সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে’, জানায় ছাত্রলীগ।