মুনশি জাকির হোসেন : ৭৫-এর রিসেট বাটনের ফলাফল। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সর্বনাশ হয়েছে বিজ্ঞানী কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন বাতিল করার কারণে। এই ক্ষতির বিশালতা এতটাই ব্যপক যে আগামি ৫০০ বছরেও হয়ত সেটি কাটিয়ে উঠা সম্ভব না!
১৯৭৪ সালের কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশে এক মূখী, বিজ্ঞানমনস্ক, কর্মমূখী শিক্ষার সুপারিশ ছিল! শিক্ষার সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রের, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক/অবৈতনিক শিক্ষা, এর পরেই ছিল ভকেশনাল/কর্মমূখী শিক্ষা। এটি মূলত জাপানের শিক্ষাক্রমকে অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হয়েছিল!
কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন হলে দেশের জনসংখ্যাকে দ্রুত দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর ঘটানো যেত, দেশে কারিগরি শিক্ষার আধিপত্য থাকত! মধ্যপ্রাচ্যে/বিদেশে আজ ৫০ লাখের বেশি অদক্ষ শ্রমিক আছে, এটি দক্ষ শ্রমিকের বাজার হতো!
কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন হলে আজকে দেশে যে ৮/১০ রকমের শিক্ষা ব্যবস্থা আছে সেটির সুযোগ থাকত না, শিক্ষা পণ্য হতো না, ধনী/গরীব সকলেই সমান মানের শিক্ষা পেত!
১৯৭৫ এর পর রিসেট বাটনে চাপ দিয়ে কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনকে সমূলে বাতিল করা হলো! এর পর দেশে হালি হালি শিক্ষা কমিশন, শিক্ষা নীতি এসেছে, দিনদিন শিক্ষা ব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে, এখনও হচ্ছে!
দেশের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থা সারপ্লাস সিটিজেন তৈরি করছে, জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তর করা যাচ্ছে না, সম্পদ এবং নাগরিক হওয়ার পরিবর্তে হচ্ছে অদক্ষ জনআবর্জনা! -রিসেট বাটনের একাল সেকাল। সূত্র : https://www.facebook.com/monshi.z.hossan




Leave feedback about this