অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে সরকার। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সেই বিশেষ ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে।
শনিবার ভোর ৬টায় রাজশাহীর উদ্দেশে আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শুরু হয়।
ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনায় জানানো হয়েছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে বাড়তি পাঁচ জোড়া অর্থাৎ ১০টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এ সময় নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনগুলো আগের মতোই চলবে। স্থগিত থাকবে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর ডে অফ। ঢাকায় কোরবানির পশু সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিনটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন দুই দিনে চালানো হবে।
ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশের প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে ঈদের আগে-পরে ১০ দিন করে মোট ২০ দিন ট্রেনে সেলুনকার সংযোজন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এদিকে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে শুরু হয়েছে ফিরতি ঈদযাত্রার ট্রেন টিকিট বিক্রি। বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ ব্যবস্থায় শনিবার থেকে বিক্রি হবে ১০ জুনের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায়, আর পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টায়। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
ঈদ-পরবর্তী সাত দিনের (৯-১৫ জুন) ট্রেন টিকিট বিক্রি হবে ধাপে ধাপে। তারিখ অনুযায়ী বিক্রির সময়সূচি হলো- ৯ জুনের টিকিট: ৩০ মে, ১০ জুনের টিকিট: ৩১ মে, ১১ জুনের টিকিট: ১ জুন, ১২ জুনের টিকিট: ২ জুন, ১৩ জুনের টিকিট: ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট: ৪ জুন ও ১৫ জুনের টিকিট: ৫ জুন।