আগস্ট ২, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

মিথ্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার – মানসিক চাপে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেলেন স্ত্রী

গত ১৯শে জুলাই রাত ১টায় যখন শাহ পরান আলম রাব্বী’কে গ্রেফতার করা হয়, তখনই তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী (‍যার সন্তান প্রসবের নির্ধারিত তারিখ ২২ জুলাই, ২০২৫ ছিলো) পুলিশ সদস্যদের বহুভাবে অনুরোধ করেন যেন তাঁর স্বামীকে এখন গ্রেফতার করা না হয়। এই দম্পতির আড়াই বছর বয়সী আরেকটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তারপরেও রাব্বী’কে গ্রেফতার করেন স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে।
রাব্বীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন প্রসবকালীন জটিলতায় ভুগছিলেন এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দুইদিন আগে স্বামীর গ্রেফতারের ঘটনায় মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন। রাব্বীকে গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টা পরই প্রসব বেদনায় কাতর ওই নারীকে হাসপাতালে নেয়া হয়, যেখানে একটি কন্যা সন্তান জন্মদেয়ার পর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়, এবং এ অবস্থাতেই তিনি মারা যান।

ভাঙচুরসহ নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ পরান আলম রাব্বী। তার গ্রেপ্তারের ঠিক ৪ দিনের মাথায় সন্তান জন্ম দিয়ে মারা গেলেন তার স্ত্রী নুসরাত জাহান ফারিয়া।

শাহ পরান আলম রাব্বীর চাচা ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহেল বলেন, রাব্বী স্ত্রী নুসরাত জাহান ফারিয়ার প্রসব ব্যাথা ওঠে। এরপর ফরিদগঞ্জ লাইফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জুলাই রাতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় এবং লাইফ সাপোর্টে রাব্বির স্ত্রী মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা সাবেক এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার অনুসারী। তিনি এমপি থাকাকালীন আমরা দলীয় পদ পেয়েছি। যখন সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি হয়েছে। তখন আমাদের মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করেছেন। তখন থেকে আমরা রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। দলের কাউন্সিল না হওয়ায় আমাদের পদগুলো রয়ে গেছে। এ নিয়ে আমরা ব্রিফিং করেছিলাম। আমাদের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় আমিও জেল খেটেছি। এখন আমার ভাতিজাও জেল খেটেছে। তার সবকিছুই হারিয়ে গেল।