রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।
বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জনি ও মঈন নামের ২ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
নিহত ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীর নাম মো. সোহাগ (৩৫)। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙ্গারি ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সোহাগের বন্ধু মামুন জানান, বিগত ২-৩ মাস মঈন সোহাগের কাছে মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা চাঁদা চাইত। কিন্তু সোহাগ এ টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে সোহাগের দোকানের সামনেই গত দুই মাস আগে মইন দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে সোহাগকে একা পেয়ে মইনসহ ৪-৫ জন মিলে ইট দিয়ে আঘাত করে এবং উলঙ্গ করে মারতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহাগ।
মামুন বলেন, ‘আমরা কেউ ভয়ে এগিয়ে আসতে পারিনি। কেননা মইন ছাত্রদলের থানা শাখার সভাপতি পদপ্রার্থী ছিল। মিটফোর্ডের ফুটপাত ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে মঈনের বিরুদ্ধে। এমনকি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে সুপারিশ করে কর্মচারী নিয়োগ দিত। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না ভাই, আমিও বিপদে আছি।’
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ভাঙ্গারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে অনেক দিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরেই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।’