এপ্রিল ২৭, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

মাগুরার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ গ্রহণ শুরু

দেশব্যাপী আলোচিত মাগুরার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বাদীসহ ৩ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত।
আজ সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসান মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আগামীকাল ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ১৩ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি আলাউদ্দিন সরদার শিশুটির মায়ের দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত চার আসামি আছিয়ার বোনের শশুর হিটু শেখ, বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোন জামাই সজিব শেখ ও সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামিকে সকালে আদালতে উপস্থিত করা হয়। বিচারক মামলার বাদী শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার, সাক্ষী জলি বেগম ও সাক্ষী ভ্যানচালক রুবেল শেখের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আগামীকাল সোমবার মামলার চার্জশিটের ৩ থেকে ৫ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। এছাড়া এ মামরায় লিগ্যাল এইডর পক্ষ থেকে আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট সোহেল আহম্মদকে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। তিনি সাক্ষীদের জেরা করেন।

মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। এ ঘটনার পর মাগুরা ছাড়াও সারাদেশে শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামে। গত ৮ মার্চ পুলিশের অভিযুক্ত এই চারজনকেই আসামি করে সদর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলা করেন শিশুটির মা। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশুটি।

এ ঘটনার পর পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলাটির মূল আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ১৫ মার্চ শনিবার বিকালে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিটু শেখ ছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। গত ২৩ এপ্রিল এ মামলার চার্জ গঠন করা হয়।