মহিউদ্দিন মোহাম্মদ : ভারতের সাথে সমস্যা আরও বাড়বে। সমাধানের একমাত্র উপায়— হিন্দুবিদ্বেষী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কঠোর হওয়া, ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া। স্পষ্ট বিবৃতিতে ফেসবুকজীবী উগ্রপন্থীদের নাকচ করা। কেবল তখনই ভারতকে রেসিপ্রোকাল মিজার নিতে শক্তভাবে বলা যাবে। অন্যথায় প্রতিবাদ প্রতিবাদ খেলা কোনো ফল বয়ে আনবে না। মনে রাখতে হবে, চিন্ময়কে অযথা গ্রেপ্তার ও ভারতীয় পতাকার প্রতি ঘৃণাবাদী আচরণ, এ দুটি বিষয়ই সমস্যার সূচনা করেছে। অন্যথায় ভারত চুপচাপই ছিলো। এমনকি নরেন্দ্র মোদী সরাসরি টুইট করে অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দনও জানিয়েছিলো।
বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের খাসলত একই। ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীলতায় কেউ কারও চেয়ে কম নয়। চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের আগে এসব ভাবা উচিত ছিলো। ভারতীয় পতাকার প্রতি উগ্র ইসলামবাদীদের যে-আচরণ, সেটির বিরুদ্ধে সরকারের সুস্পষ্ট বিবৃতি দেওয়া উচিত ছিলো। এবং দরকার ছিলো পদক্ষেপ নেওয়া, যেন এ ধরণের ঘৃণাবাদী আচরণ বন্ধ করা যায়।
ফেসবুকে একটি চক্র সক্রিয় আছে, যারা ভারতের সাথে বাংলাদেশের একটি রণমুখী সম্পর্ক তৈরি করতে চায়। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশ ইনভ্যাশনের উপলক্ষ তৈরিতে কাজ করছে। এদের চাওয়া, রাশিয়া যেভাবে ক্রিমিয়াকে অ্যানেক্স করেছে, সেভাবে ভারতও যেন বাংলাদেশকে অ্যানেক্স করে। আমি একজনের নাম জানি, যাকে এ কাজে এজেন্ট প্রোভোকেটর রূপে ইনস্টল করা হয়েছে। এটা ঘটেছিলো প্রণব মুখার্জীর সময়ে। এখনো এ প্রকল্প চালু আছে।
ভেবেচিন্তে ফেসবুকে ঘৃণার চাষাবাদ করুন। কোনো ভিডিও দেখেই লাফ দিয়ে উঠার অভ্যাস ত্যাগ করুন। যুদ্ধ তো দেখেন নি। ফিলিস্তিনের দিকে তাকান, ইউক্রেনের দিকে তাকান। ইয়েমেনের শিশুদের কথা মনে করুন। সিরিয়ার কথা স্মরণ করুন। আপনার বৃদ্ধ বাবা-মার কথা ভাবুন। সন্তানদের কথা ভাবুন। একবার শুরু হলে, তখন রাস্তায় ভিক্ষার ঝুলি, আর হাতে প্রাণের ঝুলি, এ দুটি ছাড়া উপায় থাকবে না।
কীভাবে দুই দেশ মিলেমিশে ভাই হিসেবে থাকা যায়, এ চেষ্টা করুন। নির্বোধের মতো দিল্লি না ঢাকা শ্লোগান দেয়া বন্ধ করুন। বো** মা ও গু** লির মুখে শ্লোগানওয়ালাদের কাউকে পাশে পাবেন না। ফেসবুক থেকে