জানুয়ারি ২২, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
খেলাধুলা বাংলাদেশ

বেশি কিছু না করেই ক্যারিবীয়দের ধসিয়ে দিয়েছেন নাহিদ!

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৬১ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে নাহিদ রানা ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থামিয়ে দিয়েছেন ১৪৬ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে যে কোনেও স্বাগতিক দেশের প্রথম ইনিংসে যা সর্বনিম্ন। এমন সাফল্যের কারণ হিসেবে নাহিদ জানিয়েছেন, বেশি কিছু না করে শুধু লাইন টু লাইন বোলিং করেই সফল হয়েছেন তিনি।-বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট

দ্রুতগতিতে বোলিং রানার মূল শক্তি। তবে আগে দ্রুতগতির বলে নিজের নিয়ন্ত্রণ কম থাকলেও এখন বলের নিয়ন্ত্রণও রাখতে পারছেন। জ্যামাইকা টেস্টে সাফল্য পাওয়া নিয়ে নাহিদ বলেছেন, ‘প্রথমত ওপর ওয়ালার শুকরিয়া আদায় করতে চাই, প্রথমবার পাঁচ উইকেট পেয়েছি। বেশি কিছু চেষ্টা করিনি। শুধু চেষ্টা করেছি, ব্যাটসম্যানকে জায়গা না দিয়ে কীভাবে লাইন টু লাইন বোলিং করা যায় এবং কোন পরিস্থিতিতে কোন ব্যাটসম্যানকে কীভাবে বোলিং করা যায়, সেই বোলিংয়ের চেষ্টা করেছি।’

ক্যারিবীয় ইনিংসের ১৩ তম ওভারে নাহিদের পাঁচটি ডেলিভারি ছিল ঘণ্টায় ১৫০,১৪৯, ১৫০,১৫০ ও ১৪৮ কিলোমিটার গতির! শুধু ওই ওভারেই নয়, ধারাবাহিক ভাবেই নাহিদ এই গতিতে নিয়মিত বোলিং করে গেছেন। ব্যাটাররা যেন ব্যাটিংয়ের জন্য জায়গা খুঁজে না পান, সেই চেষ্টাই করেছেন নাহিদ। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় নাহিদ বলেছেন, ‘এই উইকেটে বেশি কিছু চেষ্টা না করে শুধু লাইন টু লাইন বোলিং করে ব্যাটসম্যানকে জায়গা না দিয়ে রান ছাড়া বোলিং করলে ব্যাটসম্যানরা অনেক কিছু করার চেষ্টা করে। আমি মনে করি, বোলারদের অত কিছু চেষ্টা না করে লাইন টু লাইন বোলিং করাই ভালো।’

নাহিদের দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসে ১৮ রানে লিড পেয়েছে। দিন শেষে ৫ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে ২১১ রানে। নাহিদের বিশ্বাস, শেষ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কঠিন চাপে ফেলতে পারবে তারা, ‘অবশ্যই আমরা এখন একটা ভালো জায়গায় আছি। এখান থেকে আমরা যদি আড়াইশর ওপরে যেতে পারি… চতুর্থ দিনে ব্যাটিং করা কঠিন হবে ব্যাটসম্যানদের জন্য। উইকেট একটু অন্যরকমের, অসম বাউন্স থাকবে, স্পিনে টার্ন থাকবে। কাজেই আমরা চতুর্থ দিনে ভালো কিছু একটা বের করবো।’