জুলাই ২১, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ রাজনীতি

বিমান বিধ্বস্ত রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার ভয়ংকর নজির: ছাত্রলীগ

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার ভয়ংকর নজির বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার (২১ জুলাই) রাতে সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ জানায়, ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের উপর বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসংখ্য শিশুর প্রাণ হারানোর মর্মান্তিক ঘটনা পরবর্তীতে অথর্ব-অবৈধ ইউনূস সরকারের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর দখল ও দুর্নীতির কারণে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হলো জাতি।

‘আহত শিশুদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা প্রদানে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। চিকিৎসার অপ্রতুলতা, চিকিৎসাদানে বিঘ্ন সৃষ্টি, রাজনৈতিক নেতাদের শোডাউন, পর্যাপ্ত রক্ত সংগ্রহে ব্যর্থতা প্রভৃতি কারণে লাশের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ অপরিমেয় হচ্ছে। আহত শিশু ও তার অভিভাবকের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি হচ্ছে।’

এদিকে নিহত শিশুর সংখ্যা গোপন, সঠিক তথ্য প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধাদান, সংবাদমাধ্যমের উপর বিধিনিষেধ আরোপ, শিশুদের মা-বাবা-ভাই-বোনদের সাথে অমানবিক আচরণ মানুষের শোক-উদ্বেগকে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে, বলা হয় ছাত্রলীগের বিবৃতিতে।

সংগঠনটি জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার সংকট মোকাবেলায় ধারাবাহিক ভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। দূর্যোগ, দূর্ঘটনা কিংবা কোভিড মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও গণমুখী সৃজনশীল প্রয়াস তাকে জনগণের বিশ্বস্ত ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসেবে পরিণত করেছিল। অথচ আজ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।

ছাত্রলীগ জানায়, ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ আহত শিশুদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তার মাধ্যমে সেখানে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেনি রক্তখেকো ইউনূস। চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোকে রাজনৈতিক কার্যালয়, রিসোর্ট, অফিস বানিয়ে, দখল-দুর্নীতি করে, চিকিৎসকদের হামলা-মামলা করে, কর্মজীবন কেড়ে নিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

সংগঠনটি জানায়, এরূপ বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতেও হামলায় মৃত্যুর শঙ্কাকে উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা ছুটে গেছে রক্ত দিতে। নিজে আহত হয়েও শিশুদের রক্ত দিয়েছে, অভিভাবকদের তথ্য দিয়েছে, সেবা দিয়ে পাশে থেকেছে। এটি আমাদের শক্তি। এই শক্তি দিয়েই আমরা বাংলাদেশকে আবারও সকল শিশুর জন্য নিরাপদ বাসস্থানে পরিণত করবো।