গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির অফিস ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান।
গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়ন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মো. জুয়েল জানান, পূর্ব নির্ধারিত বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে মত বিনিময় সভা ছিলো আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে। প্রোগ্রাম শুরু হয় সন্ধ্যায়। গণ অধিকার অফিসের সামনে প্রোগ্রাম শুরু করি। পাশেই বিএনপির অফিস। তখন বিএনপির নেতা কর্মীরা সেখান বিভিন্ন ধরণের উত্তেজনামূলক আওয়াজ করে। এতে গণ অধিকারের সভায় বিঘ্ন ঘটে।
তিনি জানান, এরপর ভিপি নূরের ছোট ভাই আমিরুল ইসলামসহ আরো দুইজন বিএনপির সভাপতির কাছে অনুরোধ করেন বিএনপির সভা আধাঘণ্টা পর করার জন্য। কিন্তু পাশ থেকে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মফিজ উচ্চবাচ্য শুরু করেন। এসময় বিএনপির নেতারা গণ অধিকার পরিষদের মিটিং করার জন্য পনের মিনিটের সময় বেধে দেন। গণ অধিকারের কর্মীরা তা মেনে নেননি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিসহ অনেকে নুরের ছোট ভাই আমিনুলের উপর হামলা করে। ওই সময় আমিনুলসহ ইউনিয়ন ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি কনক, সাধারণ সম্পাদক জিহাদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম, কে আলী কলেজ শাখার সভাপতি শামিম, জিহাদ আকন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুবঅধিকারের যুগ্ম সদস্য সচিব জালাল আহত হন। এর আগে বিএনপির লোকজন আমাদের লোকজনের (গণ অধিকার) উপর চেয়ার ছুড়ে মারেন।
চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাকের বিশ্বাস জানান, ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা ছিলো। আমাদের কর্মী সভার বক্তৃতা চলছিলো। কিন্তু ভিপি নুরের লোকজন আগেই রেডি ছিলো। তারা হঠাৎ আমাদের অফিসে ঢুকে হামলা করে চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। নেত্রীর ছবিও ভাংচুর করে। এতে আমাদের অন্তত ২০-২৫ জন নেতা কর্মী আহত হন।
আহতরা হলেন, মাকসুদ খান, আল-আমীন, মহিউদ্দিন আল মুইন, তাহসান ইসলাম নাইম, মো. বাপ্পি, মো. লোকমান, শিহাব খলিফা, হৃদয় মামুন, জাকির বয়াতি, মোহাম্মদ মফিজ, সৈকত দফাদার, মেহেদী, তরিকুল ও সোহেল।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান বলেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।