আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশু শ্রমের পরিমাণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালের হিসাবে, দেশে প্রায় ১ কোটি শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে, যা মোট শিশু জনসংখ্যার প্রায় ১৬%। এই প্রবণতা বিশেষ করে উদ্বেগজনক কারণ এটি আইএলও কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২ লঙ্ঘন করে, যা শিশুদের বিপজ্জনক এবং শোষণমূলক শ্রম থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানায়। শিশু শ্রমের কারণগুলি জটিল এবং বহুমুখী। দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব এবং পরিবারের আয়ের সহায়ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা এই সমস্যার মূল কারণগুলির মধ্যে রয়েছে। শিশু শ্রমের ফলাফল অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাদের শিক্ষা ও উন্নয়নের সুযোগকে সীমিত করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী দারিদ্র্যের দিকে পরিচালিত করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার শিশু শ্রমের সমস্যাটি মোকাবেলার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি শিশু শ্রম নিষিদ্ধকরণ এবং কার্যকর আইন প্রণয়ন করেছে, শিশুদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রদান করছে এবং দারিদ্র্য উপশম করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। যাইহোক, শিশু শ্রমের সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা এবং সমাজের সকল স্তরের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। শিশুদের সুরক্ষা এবং তাদের সুযোগ এবং সম্ভাবনা বিকাশের নিশ্চয়তা দিতে আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে।
নারী ও শিশু
বাংলাদেশের শিশু শ্রম প্রেক্ষাপট ২০২৪
- লিখেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক
- মার্চ ১৫, ২০২৪
- ০ মন্তব্য
- ১ মিনিটের কম সময়
- 613 জন দেখেছে
Leave feedback about this