শাপলা প্রতীক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নাগরিক ঐক্যের মধ্যে বিরোধ মীমাংসিত না হতেই এবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এনসিপির পছন্দের অন্য দুই প্রতীক মোবাইল ও কলম প্রতীক পাওয়ার দাবিতে একাধিক রাজনৈতিক দল এখন পাল্টাপাল্টি চিঠি দিচ্ছে কমিশনে।
এনসিপি গত ২২শে জুন নিবন্ধন আবেদনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে শাপলা, মোবাইল ও কলম প্রতীক চায়। এর আগে ১৭ই এপ্রিল নাগরিক ঐক্য শাপলা প্রতীক চাওয়ায় বিষয় নিয়ে বিরোধ প্রকাশ্যে আসে৷ দুটি দলই প্রতীকটি চেয়ে একাধিকবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে। পরবর্তী সময়ে প্রতীকটি নির্বাচন বিধিমালার তফসিলে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ফলে শাপলা আর কোনো দল পাচ্ছে না৷
এদিকে প্রস্তাবিত তফসিল অনুযায়ী, তালিকায় মোবাইল ও কলম প্রতীকটি অন্তর্ভুক্ত করছে ইসি৷ তবে দুটি দল ইসি সচিবের কাছে প্রতীক দুটি নিজেরা পাওয়ার দাবিদার বলে চিঠি দিয়েছে।
জনস্বার্থে বাংলাদেশ দলের প্রেসিডেন্ট মো. বাবুল হোসেন ইসি সচিবের কাছে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘মোবাইল প্রতীক নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দল দেশে দীর্ঘ দিন যাবত প্রচার-প্রচারণা করে আসছে এবং নির্বাচন কমিশনও আমাদের দলের আবেদনে প্রস্তাবিত প্রতীকের ব্যাপারে অবগত আছে।’
চিঠিতে তিনি বলেন- ‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন আবেদন করে ২০২২ সালে ৩০ অক্টোবর এবং প্রতীক হিসেবে ‘মোবাইল’ চায়। গণমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম জাতীয় নাগরিক পার্টিকে মোবাইল প্রতীক হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে আমরা এরকম সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বিষয়টি সুরাহার জন্য আমাদের সাথে আলোচনা করতে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
এদিকে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির মুখপাত্র কাজী শামসুল ইসলাম ইসি সচিবকে লেখা চিঠিকে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির জন্য ‘কলম’ প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছে। গত ২২শে জুন সকল রাজনৈতিক দলের আবেদন শেষে সংবাদ মাধ্যম বরাতে জানা যায়, বেশ কয়েকটি দল দলীয় প্রতীক হিসেবে কলম চেয়েছে। যখন ‘কলম’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি, তখন অনেক রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনই করেনি। সুতরাং কলম প্রতীকের অগ্রণী দাবিদার একমাত্র বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।
চিঠিতে বলা হয়, বিগত ২৮শে নভেম্বর ২০২৪ জাগ্রত পার্টির জন্মলগ্নে রেজ্যুলেশন ও পরবর্তীতে গঠিত গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্রে দলীয় প্রতীক হিসেবে কলম ব্যবহার করা হয়। সবকিছু বিবেচনায় নৈতিকভাবে কলম প্রতীকের প্রথম দাবিদার ও হকদার একমাত্র বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।
তবে নিবন্ধন চূড়ান্ত না পর্যন্ত কোন দল কোন প্রতীক পাবে তা এখনই বলতে রাজি নয় ইসি।