জুলাই ৯, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বিশ্ব

পাকিস্তান – বাংলাদেশ এবং চীনের ঘনিষ্ঠতায় উদ্বিগ্ন ভারত

ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান বলেছেন, বাংলাদেশ, চীন এবং পাকিস্তানের অভিন্ন স্বার্থের সম্ভাব্য মিল রয়েছে, যা ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।

মঙ্গলবার ভারতের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) ফরেন পলিসি সার্ভে ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সরাসরি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশেগুলোর অর্থনৈতিক সংকটকে বহিরাগত শক্তিগুলো তাদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে; যা ভারতের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

চীনের নাম উল্লেখ্য না করে তিনি আরও বলেন, ঋণ–কূটনীতির সাহায্যে প্রভাব বিস্তারের মধ্য দিয়ে তারা ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। একইভাবে, দক্ষিণ এশিয়ায়  দেশগুলোর সরকারে ঘন ঘন পরিবর্তন, ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ এবং আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ভারতের সামনে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনিল চৌহান বলেন, ভুল তথ্যের বিস্তার, সাইবার হুমকি এবং ডিজিটাল মাধ্যমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা দেশগুলো মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস কমিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আজকের বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি, যেমনটি আমরা সবাই জানি… এক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। বিশ্ব দুটি শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জটিলতার একটি অতিরিক্ত স্তর যুক্ত করে, যা আমরা সকলেই জানি।’

ভারতীয় এই প্রতিরক্ষা প্রধান বলেন, ভবিষ্যতে প্রচলিত যুদ্ধ পরিচালনার পরিসর আরও সম্প্রসারিত হতে পারে; যেমন সাইবার ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক যুদ্ধক্ষেত্রে। ভারতের পারমাণবিক নীতিতে ‘প্রথমে ব্যবহার না করার’ দৃষ্টিভঙ্গি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি প্রচলিত যুদ্ধের পরিসর তৈরি করে।

তিনি বলেন, ভারতকে সব স্তরের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সেটা প্রচলিত কিংবা অপ্রচলিত হতে পারে।

সূত্র: দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস