মঞ্জুরে খোদা টরিক : ন্যাটো বলছে, রাশিয়ার অধিকার আছে আত্মরক্ষার। তারমানে তো রাশিয়ারকে ন্যাটের পরামানু হামলার অনুমোদন.! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি তাহলে অনিবার্য? বাইডেনের অনুমতির পর ইউক্রেন মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভিতরে আঘাত করেছে। এই হামলাটা হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০ দিনের মাথায়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরমানু শক্তিধর দেশ রাশিয়া এখন ইউক্রেনে পরমানু অস্ত্র ব্যবহারের বৈধতা পেল, যে ঘোষণা তারা আগেই দিয়ে রেখেছিল। শুধু ইউক্রেনে নয় ইউরোপের যে কোন দেশেও তারা হামলা করতে পারবে। ন্যাটো জোটের যে কোনো সদস্য দেশ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পুরো জোটই এই আগ্রাসন চালিয়েছে বলে বিবেচনা করবে ক্রেমলিন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক প্রতিরোধে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রীয় নীতির মৌলিক নীতিতে পরিবর্তন অনুমোদন করেছেন যে কোন সময় রাশিয়া ইউক্রেনে পরমানু আক্রমন করবে। বিশ্বে এখন পরামানু যুদ্ধ আরও অনিবার্য সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো বাইডেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বাইডেনের সিদ্ধান্ত ‘আগুনে ঘি ঢালার’ মতো। রাশিয়ার ফেডারেশন কাউন্সিলের সদস্য আন্দ্রেই কলিশাস বলেছেন, “পশ্চিমাদের সিদ্ধান্তের কারণে রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে”।
বাইডেনের সিদ্ধান্তে শুধু মস্কো ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবিরও প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়েছে। তাঁরা বলছে, ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার আগেই বাইডেন ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ বাধাতে চাইছে। ট্রাম্পের ছেলে ট্রাম্প জুনিয়র বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ বাধাতে চাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। ‘আমার বাবা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জীবন বাঁচানোর সুযোগ পাওয়ার আগেই মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে।’
বাইডেন বিশ্বকে আরো বড় সংঘাতের মধ্যে ঠেলে দিয়ে বিদায় নিতে চায়। যাকে বলে জেদের ভাত কুকুরকে দিয়ে খাওয়ানো। একটি গল্প আছে যে, এক খারাপ লোক তার মৃত্যুর আগে লোকজনকে বলেছিল, ’আমি মারা গেলে তোমরা আমার দেহখানা চৌরাস্তার মোড়ে বাঁশের উপর ঝুলিয়ে রাখবে..! সরল এলাকাবাসী তার মৃত্যুর পর তাই করেছিল। কিন্তু তারপর এলাকার মানুষের কি অবস্থা হয়েছিল তা সবারই জানা..। যুদ্ধবাজ বাইডেনও তার বিদায়কে সেইভাবেই অভিষিক্ত করছেন.! লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ফেসবুক থেকে