আশরাফুল আলম খোকন : তোমরা যারা বিশ বছর আগের ২১ আগষ্ট দেখোনি। ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্টের কথা বলছিলাম, তখন বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায়। ঐ সময়টাতে প্রায়ই দেশের বিভিন্নস্থানে বোমা ও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটতো। একই সময়ে দেশের ৬৪টি জেলায় একসাথে বোমা হামলার ঘটনাও ঘটেছিলো। ২১শে আগষ্ট ছিলো, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূণ্য করার জন্য ইতিহাসের অন্যতম ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
ঐ দৃশ্য চিত্রায়িত হলে, হলিউড কিংবা তামিল কোন সিনেমার লোমহর্ষক কোন দৃশ্যকেও হার মানাবে। যেখানে একটি গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তখনকার সরকার ও রাষ্ট্র তার সর্বোচ্চ হিংস্ররুপে আবির্ভূত হয়েছিলো। যেখানে ২৫ জনকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করা হয়, রক্তাক্ত হয়েছিলেন সহস্রাধিক মানুষ।
ঘটনাস্থল ছিলো গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, আওয়ামী লীগের সমাবেশ. সেদিন ২৫ জন মানুষ প্রাণ দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বাঁচিয়েছিলেন। আমি সেই ভয়ংকর দৃশ্যগুলো নিজ চোখে দেখেছি, আহতদেরও একজন, এখনো শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছি শতাধিক গ্রেনেড স্প্লিন্টার।
ভেবেছিলাম কোন একদিন বিচার পাবো। আজ শুনলাম এই মামলার সব আসামী খালাস। এর মানে হচ্ছে, কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি, কেউ হামলাকারীদের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে পাকিস্তানে পাচার করেনি, কেউ গ্রেনেড সাপ্লাই দেয়নি, কেউ গ্রেনেড মারেনি, কেউ মারা যায়নি, কেউ আহতও হয়নি।
শেখ হাসিনার ভাগ্য ভালো। শেখ হাসিনা ভ্যানেটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে নিজেই ছুড়ে মেরেছিলেন- এমন কোন রায় হলেও এই সময়ে কেউ অবাক হতো না। ফেসবুক থেকে