জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক-শান্তিপুর্ণ আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট ইউনূসের গৃহপালিত পেটোয়া সন্ত্রাসী (পুলিশ) বাহিনী দ্বারা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের সাথে দ্বিধাহীন সমর্থন জানাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন
তাঁরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আবাসন বৃত্তি চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় বার্ষিক বরাদ্দ প্রদান এবং দ্রুততম সময়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জলকামান থেকে গরম পানি দেয়া ও রাবার বুলেট ছোড়ার কারণে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রাতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে এবং ইন্টারনেট-নেটওয়ার্ক জ্যাম করে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। শিক্ষকদের সাথে অপমানজনক আচরণ করে ও চাপ দিয়ে, মামলার ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধের হুমকি দেয়া হচ্ছে।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘ইউনূস তার শিক্ষার্থী নামধারী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী-জঙ্গি সংগঠকদের দিয়ে একদিকে পরিকল্পিত আন্দোলনের নাটক সাজিয়ে, সমাবেশ করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, রাস্তা বন্ধ ও মানুষের দুর্ভোগ তৈরি করে, জঙ্গি শোডাউন দিয়ে, ছুটির দিনে বৈঠক ডেকে দেশের প্রধান গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে, অন্যদিকে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত প্রতিটি সমাবেশে নির্বিচার হামলা চালিয়ে, মামলা দিয়ে, জেলে ঢুকিয়ে, জামিন না দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।’
ছাত্রলীগ জানায়, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে জায়গা বরাদ্দ, নকশা প্রণয়নসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, যা বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীদের দাবি স্বয়ংকৃয়ভাবে পূরণ হতো। কিন্তু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
‘শিক্ষার্থী-জনতার কাছে আজ তাই প্রমাণিত, সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্র জবরদখল করা ইউনূস কেবলমাত্র নিজের, তার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গৃহপালিত পেটোয়া বাহিনীর জন্য একচেটিয়া ক্ষমতা প্রদর্শন, ভোগ-দখল ও দেশবিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনই এই রাষ্ট্রে একমাত্র বৈধ এবং এই বৈধতা টিকিয়ে রাখতে হত্যার মতো জঘন্য কাজও ইনডেমনিটি পাবে। এর বাহিরে যে কোন দাবিই মূল্যহীন, যে কোন সমাবেশই অবৈধ, বেআইনি, অগ্রহণযোগ্য।’
‘এমতাবস্থায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন ও আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জানাচ্ছে যে, ইউনূস যেভাবে দেশকে শুষে খাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে- তা কোনদিনই মেনে নেয়া হবে না। এই হায়েনা-সন্ত্রাসী-জঙ্গির হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনতা প্রস্তুত রয়েছে’, বলা হয় ছাত্রলীগের বিবৃতিতে।