জুলাই ৬, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

ছাত্রদল নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও বিএনপি নেতাদের

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা ঘেরাও করে আটক ছাত্রদলের এক কর্মীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

জানা গেছে, শনিবার (৫ জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও দর্শনা পৌর বিএন‌পির সমন্বয় ক‌মি‌টির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টারের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী মিছিলসহ থানার সামনে জড়ো হন। এরপরই ওসির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে আটক ছাত্রদল কর্মী মানিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে সরকার বিরোধী মিছিল বের করবে এমন খবরে তাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আমাদের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে থানা চত্বরে যায়। থানা ঘেরাও করে আটক কাউকে ছাড়াতে যায়নি।
পুলিশ বলছে, জমি-জমা সংক্রান্তের বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পক্ষের কিছু লোকজন এসেছিল। থানা ঘেরাও এর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আটক মানিককে মুচলেকার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ এক প্রতিবেশীর সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সদস্য মানিকের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই প্রতিবেশী বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে বাড়ি ভাঙচুর ও মারামারির অভিযোগে শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে মানিককে আটক করে পুলিশ। সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতারা থানায় গেলে তাকে ছাড়েনি ওসি। এরপর রাতেই প্রায় দুই শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করে।
এদিকে থানা ঘেরাওয়ের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রায় দুই শতাধিক মিছিলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থানা চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করলে এ সময় দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, পৌর বিএন‌পির সমন্বয় ক‌মি‌টির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার তাদের আটকে দেন। পরে নেতাকর্মীরা থানা গেটের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতারা থানায় প্রবেশ করে ওসির সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন। আলোচনার পর আটক মানিককে ছেড়ে দেওয়া হয়।