ডিসেম্বর ৫, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

ছাগলকাণ্ডের মতিউরের জামিন নামঞ্জুর ও  ইমরান নতুন মামলায় গ্রেফতার

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে সাদিক অ্যাগ্রোর আলোচিত চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে দুদকের আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টার দিকে আসামিদের কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদেরকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা ১২টার দিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতর দিয়ে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়। এসময় আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন মতিউর রহমান। পরে কাঠগড়ায় রাখা বেঞ্চে বসেন মতিউর ও ইমরান। তারা একে অপরকে দেখে খোশগল্পে মেতে ওঠেন। প্রায় ১০ মিনিট হাসিমুখে তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে।

পরে একটি মামলায় ইমরানকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করে দুদক। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।

দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় মতিউর রহমানের জামিন চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান (লিটন ঢালী)। পরে মতিউর রহমানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন  আদালত।

মতিউর রহমানের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সংস্থাটির ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ মতিউরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এক কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া আসামি অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে  অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ও ২৬(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইমরান হোসেনের মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রজনন অনুপযোগী আমদানি নিষিদ্ধ গবাদিপশু পালনে অবৈধ প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের ভুয়া অনুমোদনপত্র তৈরি করে ব্রাহামা জাতের ১৫টি গরু আমদানি করে। সরকারি সিদ্ধান্ত মতে এসব গরু বাজারে সুলভ দামে বাজারে বিক্রি করার কথা থাকলেও  সব বিধিবিধান লঙ্ঘন করে এবং নিলাম কমিটির মাধ্যমে নিলাম না করে ব্রাহামা জাতের ১৫টি গরু রেকর্ডপত্রে জবাই দেখানো হয়। বাস্তবে তারা এসব গরু জবাই না করে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

গত ১৫ জানুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকিকে গ্রেফতার করে। আর গত ৩ মার্চ দুপুরের দিকে ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।