উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জে কারফিউ শিথিল হওয়ার পর রোববার ভোর ৬টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এ ধারা কার্যকর থাকবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
শনিবার রাত ৮টা থেকে জারি করা কারফিউ শিথিল করা হয় রোববার ভোর ৬টায়।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, শিথিল সময়সীমার মধ্যে (ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত) ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই সময় জেলার কোথাও কোনো ধরনের সভা, মিছিল বা জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থী, সরকারি অফিস ও জরুরি পরিষেবাসমূহ ১৪৪ ধারার আওতার বাইরে থাকবে।
রোববার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কিছুটা ভীতি কাটিয়ে মানুষ জীবিকার খোঁজে ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছে। দোকানপাটও ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। তবে গ্রেপ্তারের আতঙ্ক এখনো কাটেনি।
গত ১৬ জুলাই এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনার পর এখন পর্যন্ত চারটি মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
রোববার সকালেও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় সেনাবাহিনীর এপিসি, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দেখা গেছে। রাতেও জেলাজুড়ে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। তবে গ্রেপ্তারসংক্রান্ত কোনো তথ্য নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় সহিংসতা, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ওই দিন রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে কারফিউর মেয়াদ প্রথম দফায় বাড়িয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্যকর করার কথা জানান। এর মধ্যে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল ছিল। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় কারফিউর মেয়াদ বাড়িয়ে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করা হয়।
সর্বশেষ জেলা প্রশাসক জানান, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এরপর রোববার ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।